কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ভারতের সব গরুর কানে লাগানো হবে পরিচয়পত্রের ধাঁচে বিশেষ একটি ট্যাগ। চোরাচালান বন্ধে কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আজ মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গরুর জন্য ১২ সংখ্যার বিশেষ শনাক্তকরণ নম্বর (ইউআইডি) চালু করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গরু পাচারের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া পাচার বন্ধে প্রতিটি জেলায় ৫০০ আশ্রয়হীন গরুর জন্য গোশালা নির্মাণেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, দুধ দেওয়ার বয়স পেরিয়ে যাওয়া গরুদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে। সরকার মনে করছে, এই প্রকল্পের ফলে গরুর বংশবৃদ্ধি হবে। দুধের উৎপাদন বাড়বে।
হলুদ রঙের বিশেষ ট্যাগটি লাগানো থাকবে গরুসহ বিভিন্ন গবাদিপশুর কানে। এতে অবশ্য গরু বা অন্যান্য পশুর কানেরÿক্ষতি হবে না। পলিইউরেথিনে তৈরি হওয়া এই ট্যাগগুলো সহজে নষ্ট হবে না। গরুর কান থেকে এগুলো সহজে খোলাও যাবে না। একেকটি ট্যাগের খরচ পড়বে আট টাকা করে। ওজন হবে আট গ্রাম। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে খরচ হবে ১৪৮ কোটি রুপি।
সরকারি হিসাব বলছে, ভারতে এখন গরু রয়েছে ৮ কোটি ৮০ লাখ। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে এ বছরের মধ্যেই সব গরুর কানে বিশেষ ট্যাগ বা বিশেষ শনাক্তকরণ নম্বর ঝুলিয়ে দিতে। এই নম্বরগুলো অনলাইন ডেটাবেইস তোলা থাকবে। প্রযুক্তিবিদেরা অনলাইনে ডেটাবেইস আপডেট করবেন। প্রতিটি গরুর মালিককে একটি করে অ্যানিমেল হেলথ কার্ড দেওয়া হবে। এই কার্ডে মালিকের পরিচয়, গরুকে টিকা বা ওষুধ দেওয়ার সময়, প্রজননের বিবরণের তথ্য লেখা থাকবে।
সুত্রঃ প্রথম আলো / কৃপ্র/এম ইসলাম