‘কৃষকদের হাসি কেড়ে নিতে বসেছে মরিচের দাম’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কাঁচা মরিচ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত মানিকগঞ্জ জেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কৃষকদের হাসি কেড়ে নিতে বসেছে মরিচের দাম। পানির দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। বর্তমানে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই মরিচ। উৎপাদন খরচতো দূরের কথা, গাছ থেকে মরিচ তোলা ও হাটে আনার পরিবহন খরচও মিলছে না কৃষকদের। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। অথচ এই জেলার মরিচ দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রফতানি হয়ে থাকে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে। মানিকগঞ্জে কাঁচা মরিচের বৃহত্তর বাজার বসে শিবালয় উপজেলার বরংগাইলে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী এই হাটে ওঠা মরিচ চলে যায় দেশের প্রায় সব জেলাতে।
শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া, বুতুনি, দুবুলিয়া, তাড়াইল, ঢাকিজোড়া, ইন্তাজগঞ্জ, মহাদেবপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ক্ষেতজুড়ে শুধু কাঁচা মরিচ আর কাঁচা মরিচ। শিমুলিয়া ইউনিয়নের ফেচুয়াধার গ্রামের মরিচ চাষী রমজান আলী জানান তিনি এবার ২০ বিঘা জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। যে দাম তার এবার মাথায় হাত।
তিনি জানালেন,এক কেজি মরিচ তুলতেই দিতে হয় ৫ টাকা। তাছাড়া বাজারে নিতে পরিবহন খরচ তো আছেই। বাজারে নিয়ে এই মরিচ আবার ৫ টাকা কেজিতেই বিক্রি করতে হয়। অর্থাৎ মরিচ তুলতে যে খরচ হয় সেটাই পাচ্ছেন না তিনি। আগামীতে মরিচ চাষ না করার কথাও ভাবছেন এই কৃষক।
একই এলাকার কৃষক শহিদ মিয়া বলেন,’ভাই মইর্যা গেছি। মরিচের কেজি যদি ৫ টাকা হয়,তাইলে ক্যামনে মরিচ আবাদ করুম। এক কেজি মরিচ বিক্রি কইর্যা এক কাপ চা’র দাম হওয়া কষ্টকর! তাহলে সংসার চলবে কি কইর্যা।’
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আলীমুজ্জামান মিয়া জানান, এবার জেলায় ৪ হাজার ৬৩৬ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকেরা মরিচের দাম পাচ্ছে না বলেও মনে করেন তিনি।
সুত্রঃ যুগান্তর/কৃপ্র/এম ইসলাম