কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ খুলনা জেলার বাটিয়াঘাটা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ১ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৮শ’ হেক্টর বেশি। নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।কৃষকদের সাথে কথা বলে ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের জলমা ইউনিয়নে ৪৩০ হেক্টর, বটিয়াঘাটা ইউনিয়নে ৬৫৫ হেক্টর, গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে ২৭০ হেক্টর, সুরখালী ইউনিয়নে ১১০ হেক্টর, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে ৬০ হেক্টর, আমিরপুর ইউনিয়নে ১০ হেক্টর জমিতে উপসি হাইব্রিড জাতের লাল ও কালো তিলের চাষ হচ্ছে। তবে তিল মৌসুমে জলমা, বাটিয়াঘাটা, গঙ্গারামপুর, ভান্ডাকোট ইউনিয়নে রবি খন্দের চাষও হচ্ছে। রবি খন্দের মধ্যে রয়েছে তিলে মুগ ডাল, তরমুজ, মিষ্টি কুমড়া, উচ্ছে, ভেন্ডি, ঝিঙা সহ অন্যান্য ফসলের। অন্যদিকে তিল মৌসুমে কৃষকদের তিলের প্রথম অন্তরায় হচ্ছে হালকা বৃষ্টি। এছাড়া রয়েছে পোকার উপদ্রব, লবণাক্ততা ও অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা।
উপজেলার কৃষি অফিষ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ হাজার ৫শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ হচ্ছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১ হাজার ৬শ’ ৪০ মেঃ টন যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ৩শ’ ৪৬ মেঃ টন বেশী। এ ব্যাপারে জলমা ইউনিয়নের মলি¬কের মোড় এলাকার কৃষকরা জানান, আমরা সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তিলের চাষ করছি। বর্তমানে বৃষ্টি হওয়ায় তিল ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া কারেন্ট জাতীয় পোকার উপদ্রব দেখা দিয়েছে এবং শুয়োপোকা তিলের মূল কেটে দিচ্ছে। যারফলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। আর এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বশ্বান্ত হয়ে পড়ব। অন্যদিকে বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে বৃষ্টির কারণে গোড়াপচা রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টির কারণে লাল কালো তিলের ক্ষেতগুলোর ভেতর চারা লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। কোন সার ওষুধে কাজ হচ্ছে না।
প্রান্তিক চাষি কড়িয়া গ্রামের রফিক শেখ ও বুজবুনিয়া গ্রামের রহমান হোসেন জানান, আশা এ,জি,ও থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ২ জনে মিলে ১৫ একর জমিতে তিলের চাষ করছি। গত বছর অধিক বৃষ্টির ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবছর বৃষ্টি কম এবং তিলের দাম বেশী দেখে চাষ শুরু করি। বর্তমানে বৃষ্টির চাপ ও পোকার উপদ্রবও খুব বেশী। একারণে তিলের চারা শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। এখন কিভাবে এই ঋণের টাকা পরিশোধ করব এবং সংসার চালাবো এ নিয়ে হতশায় দিনতিপাত করছি।
কৃপ্র/এম ইসলাম