কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ অধিক ফলনশীল তিনটি ডালের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে পাবনা ডাল গবেষণা কেন্দ্র। উদ্ভাবিত জাতগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কৃষকদের হাতে তুলে দেয়া হবে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ উপলক্ষে পাবনা ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এক কর্মশালা গতকাল শেষ হয়েছে। সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে সরেজমিন গবেষণা বিভাগ পাবনা ও ডাল গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। রাজশাহী অঞ্চলের আট জেলার কৃষি দপ্তরের উপপরিচালক, কৃষক, কৃষি ও গবেষণা দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এ কর্মশালায়।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আ.সা.ম. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঈশ্বরদী ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মুহাম্মদ হোসেন আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শেখ মোস্তফা জামান, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ এসএম হাছেন আলী, বগুড়া অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক, মো. জাহিদ হোসেন, সরেজমিন গবেষণা ও সম্প্রসারণ পাবনা-১ অঞ্চলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় কৃষি প্রযুক্তি বিস্তারের অংশ হিসেবে উচ্চফলনশীল তিনটি ডালের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। গত বছরের কর্মশালায় পুষ্টি চাহিদা পূরণে নতুন ডালের জাত উদ্ভাবনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তারই ফলশ্রুতিতে চলতি বছর বারি ছোলা-১০, বারি মাষকালই-৪ ও বারি মটর-৩ উদ্ভাবন করা হয়েছে। অচিরেই এ ফসলগুলো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকের হাতে পৌঁছাবে।
সুত্রঃ কৃপ্র/এম ইসলাম