কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার প্রচলন কম করে হলেও হাজার বছরের পুরনো। একসময় ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার প্রচলন ছিল বিশ্বব্যাপী। যুক্তরাজ্যে এ প্রচলনটি টিকে ছিল ১৮৮০ সাল পর্যন্ত। আমাদের দেশেও ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা হয়। নড়াইল, খুলনা ও সুন্দরবনের কাছাকাছি অঞ্চলে এখনো রয়েছে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার প্রচলন।
ভোঁদড়গুলো জেলেদের পোষ্য। নদীতে জাল বিছিয়ে দেয়া হয় এর পর ভোঁদড় জালের ওপর দাপাদাপি করলে মাছ উপরের দিকে উঠে এসে জালে আটকা পড়ে। ভোঁদড়ের গলায় দড়ি বাঁধা থাকে। মাছ ধরা পড়লে তারা সেগুলো জেলেদের কাছে এনে দেয়। ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার এ প্রক্রিয়া দেখতে হলে এক দিন বা এক রাত থাকতে হবে গোয়ালবাড়ি নামক এক গ্রামে। গ্রামটি নড়াইল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে। তাছাড়া সুন্দরবন ভ্রমণে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য না দেখলে মাটি হয়ে যাবে পুরো সফরটিই!
তবে যারা দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসতে চান, তারা গোয়ালবাড়িতে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে খুলনা থেকে নোয়াপারা পর্যন্ত লোকাল বাসে করে যেতে হবে। যেতে ৪৫ মিনিটের মতো লাগবে, ভাড়া আনুমানিক ৩০ টাকা। বাস থেকে নেমে রাস্তার অন্য পাশে কিছু দূর গেলেই ফেরিঘাটের দেখা মিলবে। ২ টাকা ভাড়া দিয়ে ফেরিতে করে নদী পার হতে হবে। নদী পার হয়ে গোবরার বাস ধরতে হবে। গোবরা পৌঁছাতে লাগবে মিনিট তিরিশেক। সেখান থেকে গোয়ালবাড়ি হেঁটেই যাওয়া যায়। গোয়ালবাড়িতে গেলে পরে বেশকিছু ভোঁদড় পালক জেলের দেখা মিলবে।
সুত্রঃ বনিক বার্তা/ কৃপ্র/এম ইসলাম