বিজ্ঞানী মোঃ মোতাহার হোসেন ও বিজ্ঞানী ড. কে, এম, খালেকুজ্জামানঃ মরিচে ফল ছিদ্রকারী আক্রমনে পোকা কচি ও বাড়ন্ত ফল ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে ফলের ভিতরের অংশ খেয়ে ফেলে। যার ফলে মরিচের বৃন্তের কাছে একটি ক্ষুদ্র আংশিক বদ্ধ কালচে ছিদ্র দেখা যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত ফলের ভিতরে পোকার বিষ্ঠা ও পচন দেখা যাবে। পোকা আক্রান্ত ফল নিধারিত সময়ের পূর্বেই পাকে বা ঝড়ে পড়ে।
দমন ব্যবস্থা:
১। সেক্স ফেরোমন ফাঁদ (প্রতি বিঘায় ১৫টি) ব্যবহার করে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা।
২। ডিম নষ্টকারী পরজীবী পোকা, ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ ও কীড়া নষ্টকারী পরজীবী পোকা, ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করে এদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৩। আধভাঙ্গা নিম বীজ (৫০ গ্রাম এক লিটার পানিতে ২৪ ঘন্টা ভিজানোর পর মিশ্রণটি ছাকতে হবে) নির্যাস আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পার ৩ বার ¯েপ্র করে এই পোকা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৪। আক্রমণ তীব্র হলে কুইনালফস ২৫ ইসি (দেবীকুইন/কিনালাক্স/করলাক্স) প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে বা সাকসেস ১০ লিটার পানিতে ১২ মিলি হারে স্প্রে করে এদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৫। বেশি মরিচ এ পোকা দ্বারা আক্রান্ত হলে ডেনিটল ১০ ইসি/ ট্রিবন ১০ ইসি / রিপকর্ড ১০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১ মি.লি. হারে অথবা ফেনকিল ২০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে০.৫ মিলি. হারে অথবা সুমিথিয়ন ৫০ ইসি ২ মি.লি. হারে এগুলোর যে কোন একটি কীটনাশক প্রতি লিটার পানির সাথে মিশিয়ে গাছের সমস্ত অংশ ভালভাবে মিশিয়ে স্প্রে করা।
৬। সেক্স ফেরোমন ফাঁদ + ট্রাইকোগ্রামা + ব্রাকন
লেখকঃ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব) , মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই শিবগঞ্জ, বগুড়া।
কৃপ্র/এম ইসলাম