শরবত আলী বলেন, ‘সবজি ব্যবসার সুবাদে খুলনায় গিয়ে আমি থাই পেয়ারা দেখি। এর পরই আমার এ পেয়ারা চাষে আগ্রহ হয়। ১৩ মাস আগে খুলনার এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে কিছু চারা এনে পরীক্ষামূলক একটি বাগান করি। এর মাত্র তিন মাসের মাথায়ই ফল আসা শুরু করে। এর পর বাগানের পরিধি আরো বাড়াই। এ পর্যন্ত আমি প্রায় ২০ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার শুরুটা প্রায় শূন্য হাতে হলেও এখন আমি স্বাবলম্বী। বাগানের পরিচর্যায় আমি একজন ম্যানেজারও নিয়োগ দিয়েছি। আমার বাগানে প্রতিদিন ২০-২৫ জন শ্রমিক কাজ করে। আমাকে দেখে অনেকেই এখন পেয়ারা বাগান করতে উত্সাহ পাচ্ছে।’
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শামসুল হক বলেন, ‘শরবত আলী দেবীগঞ্জে থাই পেয়ারার বাগান করে চমক সৃষ্টি করেছেন। এ এলাকার মাটি ও আবহাওয়া এ জাতের পেয়ারার জন্য বিশেষ উপযোগী। তার কঠোর পরিশ্রম আর কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ পেয়ারার বাগান এখন পঞ্চগড় জেলায় একটি মডেলে পরিণত হয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম