কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নড়াইল জেলায় বোরোধান চাষিদের ধান কাটার ধুম লেগে গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। মাঠের যেদিকে তাকায় সেদিকেই ধান আর ধান। ধান কাটা ও ঘরে তোলার ধুম লেগে গেছে। কৃষকরা শ্রমিক নিয়োগ করে সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। চলছে বোরো ধান কর্তন, বাড়ির আঙিনায় নেয়া এবং মাড়াই শেষে গোলায় তোলার কাজে ব্যস্ত। নতুন ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিক। চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে জেলায়।
কৃষিবিভাগ সূত্রে জানাগেছে, অনুকূল আবহাওয়া, ফসলের মাঠে কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, সময় মতো সার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আরো সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এখন মাঠে মাঠে বোরো কাটার ধুম লেগে গেছে। কৃষকরা শ্রমিক নিয়োগ করে ক্ষেতের ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্ষেতের কাছে গেলে সোনালী ধানের দোল দেখে কৃষকের মন ভরে উঠছে খুশিতে। ফসলের মাঠে ফুটে উঠছে কৃষকের বাধভাঙ্গা হাসির ঝিলিক। কৃষকবধূরাও ধান গোলায় তোলার কাজ করছেন কোমর বেঁধে।
সদর উপজেলার সিবানন্দপুর গ্রামের ইশারত শেখ জানান, বোরো ধানের ফলন আশানুরূপ হয়েছে। ক্ষেতের ধান নিরাপদে ঘরে তোলার জন্য সকাল-সন্ধ্যা পরিশ্রম করছি। এবার ধানের বাজারমূল্য ভাল আছে আমাদের লাভ হবে। উজিরপুর গ্রামের কৃষক ছরোয়ার হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। সরকার ৯শ’ ৬০ টাকা ধানের দাম নির্ধারণ করায় আমাদের লাভ হচ্ছে। সদর উপজেলার ভওয়াখালী গ্রামের ইসমাইল হোসেন বলেন, বোরো ধানে এবছর কোন রোগ-বালাই ছিলনা তাই ফলনও হয়েছে ভাল বাজার মূল্য ভাল থাকায় আমরা আনন্দিত। মাইজপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী মাহাবুবুর রহমান বলেন, বর্তমানে হাটে বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে সাড়ে ৯শ’ টাকায় আমরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে কিনে খুলনাসহ বিভিন্নস্থানে বিক্রি করি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক বাসস’কে বলেন, জেলায় এ বছর জেলায় ৪১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে এবছর বোরো আবাদ করা হয়েছে। আবাহওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কৃষক ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে বাকি ধান ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ভালভাবে ঘরে তুলতে পারবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান এই কৃষিবিদ।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম