কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ:
গাভীর বাচ্চা প্রসবের সময় নিম্নলিখিত যত্ন নিতে হয় :
১. গাভীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শুকনো জায়গায় রাখতে হবে।২.গাভীকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। ৩. প্রসবের সময় কোন সমস্যা হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে প্রসবের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. বাচ্চা প্রসবের সাথে সাথে গর্ভফুল বের হয়। গর্ভফুল সাথে সাথে দূরে মাটির গর্তে পুঁতে ফেলতে হবে। গাভী গর্ভফুল খেয়ে ফেললে অজীর্ণতা দেখা দিবে এবং দুধ উৎপাদন কমে যাবে। ৫. প্রসবের ১২ ঘণ্টা পরেও ফুল বের না হয়ে জরায়ুর ভিতর আটকে থাকলে পচে গিয়ে পুজেঁর সৃষ্টি করতে পারে। এ অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ৬. বাচ্চা প্রসবের পরপরই অল্প গরম পানিতে ০.০১% পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট বা নিমপাতা সহযোগে পানি গরম করে গাভীর জননতন্ত্রের বাইরের অংশ এবং লেজ পরিষ্কার করতে হবে। ৭. গাভীর যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ৮. নবজাতক বাছুরকে জিহবা দিয়ে চাটার জন্য গাভীর কাছে বাচ্চা আনতে হবে। এতে বাছুরের নিউমোনিয়া হয় না। ৯. প্রসবের পরপরই গাভীকে আংশিকভাবে দুধ দোহন করতে হবে। ১০. বাছুরকে শাল দুধ খাওয়ানোর জন্য ওলানের বাঁট চুষতে দিতে হবে। এতে গাভীর ওলান প্রদাহ হবে না। ১১. প্রসবের সময় প্রসবনালীতে ক্ষতের সৃষ্টি হলে মাছি বসতে দেয়া যাবে না। ১২. প্রসবের পর সবসময় গাভীর কাছে বাচ্চা রাখতে হবে। এতে গাভীর মন ভালো থাকে। ১৩. গাভীকে প্রচুর কাঁচা ঘাস, সুষম খাদ্য ও পানি খাওয়াতে হবে। অন্যথায় ক্যালসিয়ামের অভাবে দুধজ্বর হতে পারে। ১৪. গাভী ও বাছুরের বাসস্থান শুকনা রাখতে হবে।১৫. পশু ডাক্তার দিয়ে গাভী ও বাচ্চার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। ১৬. প্রসবের পর অল্প গরম পানি বা গুড়ের সরবত গাভীকে খাওয়ানো ভালো।
লেখক: কৃষি প্রাবন্ধিক,বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত, সম্পাদক- কৃষি প্রতিক্ষণ।
কৃপ্র/এম ইসলাম