কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ শরীয়তপুর জেলার ৬ উপজেলার সর্বত্র বোরো ধান কাটার ধুম পড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভাল ফলন পেয়ে কৃষকেরা বেশ খুশি। জেলায় সরকারিভাবে বোরো ধান কেনা এখন শুরু হয়নি। বর্তমান যে ধানের বাজারমূল্য তাতে কৃষকরা বিঘা প্রতি ৬-৮ হাজার টাকা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। শতকরা ৭৫ ভাগ বোরো ধান কাটা-মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। তবে স্থানীয় শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন হয়েছে জাত ভেদে বিঘা প্রতি ২০-২৫ মণ ধান।
কৃষকরা জানান, সার, বীজ, কীটনাশক, পানি সেচ ও শ্রমিক সহ বিঘা প্রতি গড়ে ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জেলার বিভিন্ন ধানের বাজারে প্রকার ভেদে ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা মণ (৪০ কেজি)। দাম ভাল পাওয়ায় তারা আনন্দিত ।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাগদী গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন খান ও আলি আকবর বেপারী জানান, জমিতে ধানের ভাল ফলন দেখে তারা বেশ খুশি। বাজারে ধানের দামও ভাল কিন্তু স্থানীয় শ্রমিক সংকট থাকায় মাড়াইয়ের খরচ বেশী পড়ছে বলে তারা জানান। এক বিঘা জমির ধান কাটতে এবার সাড়ে ৩ হাজার থেকে চার হাজার টাকা দিতে হচ্ছে মজুরদের। গত বছর এ খরচ ছিল দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (সশ্য) মো. মছির উদ্দিন জানান, চলতি ২০১৬-২০১৭ মৌসুমে জেলায় ২৮ হাজার ১শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ২৮ হাজার ১শ’ ৬০ হেক্টর। এতে চাল উৎপাদন হবে প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার মে.টন। জেরার কৃষি বিবাগ জানায়, ধানের উৎপাদন ব্যয় কমাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
শ্রমিক সংকট লাঘব করতে খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ধান কাটার রীপার যন্ত্র ৩০% ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের সরবরাহ করাসহ আবাদ মৌসুমে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা লাইন সুইং, পার্সিং, গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করার পরামর্শসহ নানা কৌশল বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেছে। আবাদকৃত ধানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রি-ধান- ২৯, ৫৮, ৬২, ৬৩ এবং ৬৪। হাইব্রিড জাতের এস এলএইচ-৮ এবং স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ করেছেন কৃষক। তবে জেলায় উফশী জাতের ব্রি-ধান-২৯ এ ফলন বেশী হওয়ায় এই ধানের আবাদ হয়েছে ৮৫ শতাংশ জমিতে।
সুত্র, বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম