কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সুন্দরবনের বলেশ্বর নদীতে বাগদা ও গলদা চিংড়ির নিষিদ্ধ পোনা ধরে সড়ক পথে খুলনা ও বাগেরহাটের চিংড়ির ঘেরে পাচারের বাণিজ্য এখন জমজমাট। বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদোয়ানী ও বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বন্দর কেন্দ্রিক অর্ধশতাধিক আড়তদার প্রতিরাতে ট্রাক ও পিকআপে এ পোনা পাচারে জড়িত।
নিষিদ্ধ এ ব্যবসা চালাতে পাথরঘাটা-মঠবাড়িয়া-পিরোজপুর-শরণখোলা-বাগেরহাট-খুলনার সড়ক পথে এ অবৈধ কাজ চলছে। এসব পথের কোস্টগার্ড ও পুলিশের বিভিন্ন ক্যাম্প, ফাঁড়ি, থানা ও সার্কেল অফিস এবং গোয়েন্দা ও ট্রাফিক পুলিশ এসব সড়কের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিয়োজিত থাকে। রাতের আঁধারে চরদোয়ানী ও রায়েন্দা থেকে ট্রাক ও পিকআপগুলোতে নিষিদ্ধ চিংড়ি পোনার ড্রাম বহন করা হয় বলে তা সাধারণ লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যায়।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মাস্লুইজ, লালদিয়া, হরিণটানা, টেংরা, কালমেঘা, চরদোয়ানী প্রভৃতি এলাকার নদীর চর ও বলেশ্বর মোহনাসহ অভয়ারণ্যভুক্ত পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা এবং চাঁদপাই রেঞ্জের নদী ও খালে অবৈধভাবে মত্স্য আহরণ ও বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা নিধন চলছে। বছরের অধিকাংশ সময় ধরে এই নিধনযজ্ঞ চললেও এগুলো বন্ধে সংশ্লিষ্টদের কার্যত নেই তেমন কোনো কর্মতত্পরতা।
এছাড়া শরণখোলা উপজেলার নদী খালগুলোতে ব্যাপকভাবে বাগদা চিংড়ির রেণু ও পোনা ধরা হচ্ছে। এর কারণে প্রতিনিয়ত চিংড়ির রেণু ও বাগদা পোনার সঙ্গে অন্য প্রজাতির কোটি কোটি পোনা মাছ মারা যাচ্ছে। ফ্রি-স্টাইলে অন্তত শতাধিক স্পটে সূক্ষ্ম ফাঁসের মশারি নেটের হাজার হাজার বেহুন্দি ও বক্স আকৃতির জাল পেতে পোনা মাছ নিধনের ভয়াবহ তাণ্ডব চালানো হচ্ছে।
উপজেলা সিনিয়র মত্স্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, যৌথভাবে কোস্টগার্ড, নৌ বাহিনী ও মত্স্য বিভাগ নদীপথে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার পোনার হাড়ি নদীতেই অবমুক্ত করে। নদীতে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
সুত্র, ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম