কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ শুরু হচ্ছে কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং। এবার সরাসরি সংগ্রহ পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ড্রেজিংয়ের কাজ করবে নৌবাহিনী। আগামী মাসে নৌবাহিনী ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। জুলাই থেকে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে।
জানা গেছে, প্রথম এক বছর হবে ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও পরবর্তী তিন বছর মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং। তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নৌবাহিনী সরাসরি ড্রেজিং করবে না। কারণ নৌবাহিনীর ড্রেজার নেই। অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে ড্রেজিং করাবে নৌবাহিনী। এতে সঠিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের আগেই হয়তো কাজ শেষ করা যাবে। আর বন্দরের পক্ষ থেকে মনিটরিংয়ের জন্য বুয়েটের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। তবে এখনো ড্রেজিং প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়নি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল এ প্রসঙ্গে বলেন, কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং ডিপিএম পদ্ধতিতে নৌবাহিনীকে দিয়ে করানোর জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেছে। আগামী মাসে আমরা ড্রেজিংয়ের দর ও কার্যপদ্ধতি নিয়ে নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করব। চুক্তির পর জুলাইয়ে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। ড্রেজিংয়ের পর ৪০০ মিটার দীর্ঘ লাইটারেজ জেটি ব্যবহার করা যাবে। এতে চারটি জাহাজ ভিড়তে পারবে। একই সঙ্গে কর্ণফুলীর নাব্যতা বাড়বে এবং দূষণও রোধ হবে। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাটি সমুদ্র সমতল থেকে চার মিটার গভীর করা হবে। এতে এ এলাকা থেকে প্রায় ৪৩ লাখ ঘনমিটার মাটি উত্তোলন করার কথা রয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম