কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীনের পথে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মুক্তাঞ্চ কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী। এ উপজেলার ২০টি গ্রামে একযোগে ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব পাড়ে (বাম তীর) বন্যা মৌসুমের আগেই ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন এলাকাগুলো হলো: ইটালুকান্দা, সাহেবের আলগা, চর গেন্দার আগলা, চরঘুঘুমারী, ঘুঘুমারী, খেরুয়ারচর, পূর্ব খেরুয়ারচর, পূর্ব খেদাইমারী, উত্তর খেদাইমারী, পশ্চিম পাখিউড়া, পাখিউড়া, পশ্চিম বাগুয়ারচর, বাগুয়ারচর, বাইসপাড়া, বলদমারা, পূর্ব বলদমারা, ধনারচর, ধনারচর নতুন গ্রাম, দিগলাপাড়া ও তিনতেলী।
এছাড়া আগামী বন্যা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের কবলে পড়বে রৌমারী উপজেলার আরো প্রায় ২০টি গ্রাম। প্রতিবছর নদের ভাঙনের ফলে গ্রামের পর গ্রামের ঘরবাড়ি ফসলী জমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাছপালা বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। হাজার হাজার মানুষ তাদের বাব-দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে পরিণত হচ্ছে ভূমিহীনে।
এসব পরিবার সবকিছু হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন রাস্তার দুইপাশে হেলিপ্যাডে ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন রোধে জরুরি কোনো পদক্ষেপ না নিলে অদূর ভবিষ্যতে রৌমারী উপজেলা পরিষদ ভবনসহ সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
রৌমারী উপজেলায় কর্মরত সিএসডিকে এনজিওর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আবু হানিফ মাস্টার বলেন, গত পাঁচ বছরে রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার পরিবার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে উদ্বাস্তু হয়েছে।
এই পরিবারের একটি বড় অংশ ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বস্তিতে বাস করছে। উদ্বাস্তু পরিবারের পুনর্বাসন ও নদী ভাঙন রোধ না করলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে রৌমারী ও রাজিবপুর হারিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
সুত্র, ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম