‘চীনের চাষযোগ্য জমির ২০ শতাংশই দূষিত’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ১৪০ কোটি মানুষের নিরাপদ খাদ্য সংস্থানে দেশের বাইরে তাকাতে হচ্ছে চীনকে।আর এখন চীনে শুরু হয়েছে টেকসই কৃষির চর্চা। শিল্পায়ন আর নগরায়ণে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি হারিয়েছে চীন। বর্জ্য ও রাসায়নিকে দূষিত হয়েছে কৃষি জমি। চীনা চাহিদার চাপে পাল্টে যাচ্ছে বিশ্বে খাদ্য উত্পাদন ও বিক্রির ধরন। চাহিদা মেটাতে আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে কৃষিজমি ও খামার কিনেছে চীন। কিছু জমি ও খামার ইজারাও নিয়েছে। ভূমি সংস্কারের সুবাদে চীনে চাল ও গমের উত্পাদন বেড়েছে। কোটি কোটি মানুষ আগের চেয়ে বেশি সবজি ও শূকরের মাংস খেতে অভ্যস্ত হয়েছে। গরুর মাংস ও দুধের মতো বিলাসী খাবারেও তারা আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
চীনের এই দ্রুত ও আমূল পরিবর্তন কিছু নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি কারখানার দখলে গেছে, দূষিত হয়েছে। একজন মার্কিন নাগরিকের খাবার জোগাতে ১ হেক্টর জমি দরকার। চীনে একজন নাগরিকের খাবার জোগাতে প্রাপ্ত জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক ২ হেক্টর; এর মধ্যে দূষণে নষ্ট হওয়া জমিও রয়েছে।
চীনের কৃষিবিষয়ক সেন্ট্রাল রুরাল ওয়ার্ক লিডিং গ্রুপের উপ-পরিচালক হান জুনের বক্তব্যে চীনা কৃষির সংকটের বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি পিপলস ডেইলিতে লিখেছেন, ‘আমরা আমাদের সম্পদ ও পরিবেশের শক্তি নিঃশেষ করেছি। খাদ্য সংকট মোকাবেলায় আমরা যথেচ্ছা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেছি। খুব দ্রুত আমাদের পরিবেশবান্ধব ও মানসম্মত খাদ্য উত্পাদন বৃদ্ধি করতে হবে।’
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও ওইসিডি বলছে, টেকসই খাদ্য উত্পাদন বৃদ্ধি করতে চীনকে সবার আগে কৃষিজমি সংরক্ষণ করতে চীনের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হলো ভূমিদূষণ। চীনের চাষযোগ্য জমির ২০ শতাংশই দূষিত। ২০১৪ সালে এক সরকারি গবেষণায় বেশকিছু সবজিক্ষেতে ক্যাডমিয়াম ও অন্যান্য ধাতবের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম