কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। এ জমি থেকে ৬ লাখ ৯১ হাজার ২০৫ বেল পাট উত্পাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে বেশকিছু জমির পাটগাছ শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আশানুরূপ ফলন নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও রংপুরের অধিকাংশ কৃষক গত চৈত্র ও বৈশাখে পাট আবাদ শুরু করেন। সব মিলিয়ে এবার ৫৯ হাজার ৯৩৮ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে দেশী, ৫৪ হাজার ৬৭৩ হেক্টর তোষা ও ৩০ হেক্টর জমিতে মেস্তা পাট রোপণ করেছেন কৃষকরা। পাঁচ জেলার মধ্যে রংপুরে ১১ হাজার ৮৩০ হেক্টর, গাইবান্ধায় ১২ হাজার ১৭৫, কুড়িগ্রামে ২০ হাজার ৭০৩, লালমনিরহাটে ৪ হাজার ৭৮০ ও নীলফামারীতে ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর রংপুর অঞ্চলে পাট প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। গত মৌসুমে ৬২ হাজার ২৭৩ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে দেশী ও ৫৭ হাজার ৫৪৮ হেক্টরে তোষা পাট আবাদ হয়। এ থেকে পাট পাওয়া গিয়েছিল ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮৪ বেল।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেরর উদ্যান বিশেষজ্ঞ ফয়েজ উদ্দীন বলেন, পাটের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এবার হেক্টরপ্রতি ১০ দশমিক ৮৬ বেল পাট পাওয়া যেতে পারে। পাটেরবীজ বপনের ১১০ দিন পর গাছ কেটে জাগ দিতে হয়। তবে পানিস্বল্পতার কারণে পাট জাগ দেয়া যাতে ব্যাহত না হয় এবং সহজে আঁশ সংগ্রহের জন্য কৃষকদের রিবন রেটিং পদ্ধতি ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
সুত্রঃ বনিক বার্তা/ কৃপ্র/এম ইসলাম