কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কচুরিপানা জটে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ রুটে নৌযান চলাচল করতে পারছে না। ফলে ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। এদিকে দখল আর দূষণের কারণে আশপাশের পরিবেশ বিষবাষ্পে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফরিদগঞ্জ-চাঁদপুর নৌপথের দূরত্ব প্রায় ১৮কি. মি.। পুরো নৌপথটি ডাকাতিয়া নদী। বর্তমানে জটিল আকার ধারণ করেছে কচুরিপানা। নদীটি কচুরিপানা দিয়ে এমনভাবে বেষ্টিত যে পায়ে হেঁটে নদী পার হওয়া সম্ভব। অনেক আগে থেকে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ নৌপথটি দিয়ে চাঁদপুর থেকে ৩/৪শ মণ মালামাল নিয়ে এক একটি নৌকা, টুবগী হয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে আসতো। বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত কচুরিপানা জটে নৌপথটি বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে সরকার প্রতিবছর ডাকাতিয়া নদীতে জেলে পরিবারগুলোর কথা চিন্তা করে মাছের পোনা অবমুক্ত করছে। কচুরিপানা পচে পানি দুর্গন্ধ হয়ে মাছে মড়ক লেগে কোটি কোটি টাকার মত্স্য সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি পানি দুর্গন্ধ হয়ে হাজার হাজার বোয়াল, পাবদা, রুই, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে সাবাড় হয়েছে।
আর এ নদীর ফরিদগঞ্জ অংশের বেশ কিছু অংশ দখল ও দূষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। উপজেলা সদর বাজারের উত্তর অংশে কেরোয়া ব্রিজের দুপাড়ের দুই পাশ ময়লা-আর্বজনা ফেলে বিশাল অংশ ভরাট করেছে দখলবাজরা। ডাকাতিয়া নদী সংস্কার ও উত্পাদনমুখী কর্মকাণ্ডে লাগানোর জন্য সংসদ সদস্য ড. শামছুল হক ভূঁইয়া ৪শ ৬৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে ডাকাতিয়া নদীকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো ও পর্যটন এলাকায় পরিণত করা যাবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. শহিদ হোসেন চৌধুরী জানান, আমি উপজেলায় এসে পরিচ্ছন্ন ফরিদগঞ্জ নামকরণ করে পৌর শহরসহ সর্বত্র পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অচিরেই পৌর মেয়রের সঙ্গে এ বিষয় কথা বলে দূষণ ও দখল বন্ধ করার ব্যবস্থা নেব।
সুত্র, ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম