কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সন্ধ্যা, সুগন্ধা ,আড়িয়াল খাঁ এ তিন নদীর ভাঙনের কবল থেকে কিছুতেই রক্ষা করা যাচ্ছে না বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো । একে একে বিলীন হয়ে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা। চলতি বর্ষা মৌসুমে এ নদী ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে। গত এক মাসে নদী তীরবর্তী এলাকার ভাঙনে বিলীন হয়েছে প্রায় ৩০টি পরিবারের বসতভিটা। এ ছাড়াও ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে শত শত একর আবাদি জমি, গাছপালা ও মূল্যবান সম্পদ। খবর ইত্তেফাক অনলাইনের।
ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জাদুঘর, রমজান কাঠীর গুদিঘাটা গ্রাম, নদী রক্ষা বাঁধ, স্কুল, কলেজ, বাজার, মসজিদসহ নদী তীরবর্তী প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড এতদিন হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলেও ভরা বর্ষা মৌসুমে তারা নড়েচড়ে বসেছে। ভাঙন রোধে হাতে নিয়েছে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ক (জরুরি কর্ম)।
তড়িঘড়ি করে এর মধ্যে দুই-একটি জায়গায় শুরু করা হয়েছে পানিতে বালু ভর্তি ব্যাগ (জিও) ও বাঁশের খাঁচা ফেলানোর কাজ। ধীরগতিতে নিম্নমানের এ কাজেও প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না ভাঙন। নদী তীরবর্তী ভুক্তভোগী লোকজনের অভিযোগ, জরুরি কাজের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড সরকারি অর্থের লোপাট করছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এতে করে ভারি হবে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পকেট।
দেহেরগতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান অর্থ অপচয় রোধ করে ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজের সামনের সুগন্ধ্যা নদীর অপরপ্রান্তে জেগে ওঠা চর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী এ কলেজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি রক্ষা করা যেত। তিনি আরো জানান, রাকুদিয়া আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ, চর-সাধুকাঠী মাদ্রাসা ও উত্তর বাহের চর এলাকায় চলতি বছরে ৩০টির বেশি পরিবার ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এ তালিকা উপজেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।
হুমকির মুখে পড়েছে নদী নিয়ন্ত্রণ রক্ষা বাঁধ, দোয়ারিকা শিকারপুর সেতু, বরিশাল বিমানবন্দর ও আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ এবং রশিদা মোশারেফ একাডেমি ও মসজিদ। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম