কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
রাজবাড়ী জেলার মাঠ জুড়ে ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজ তোলার ধুম পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় এ বছর পেঁয়াজ দানা (বীজ) ঘরে তোলা পর্যন্ত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অতিমাত্রায় ঝড়-বৃষ্টি না হলে লাভজনক এই চাষে কৃষক সহজে সচ্ছলতার মুখ দেখবে। চাষিরা সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পরিবারের বিভিন্ন বয়সীদের নিয়ে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ দানা তুলছেন। ক্ষেত থেকে পর্যায়ক্রমে কয়েক দফায় তুলে হয় এই পেঁয়াজের ফুল বা কদম। যার মধ্যে কালো সোনা আবৃত্ত থাকে। পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে ফসলি মাঠ।
রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা জানান, চলতি মৌসুমে সদর উপজেলাতেই ৭০ হেক্টর, কালুখালীতে ৫৫ হেক্টর, পাংশাতে ৪৫ হেক্টর, বালিয়াকান্দিতে ১৫ হেক্টর ও গোয়ালন্দে ১০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে পেঁয়াজ বীজ। গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে জেলায় মোট ২৮ হাজার ২১৫ হেক্টর পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে ১৯৫ হেক্টর জমিতে এ বছর পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছে কৃষকেরা।
জমি চাষ থেকে শুরু করে বীজ, সার, কীটনাশক, সেচ দিন মজুর ও ফসল উত্তোলনের সময় বিঘা প্রতি খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা ফসলি জমি থেকে দেড় থেকে দুই মণ পেঁয়াজ বীজ সংগ্রহ করে থাকে কৃষকেরা। বর্তমানে প্রতি কেজি বীজের বাজার দর দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। যার বাজার মূল্য ৯০ ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
পেঁয়াজ বীজের উচ্চ মূল্য এবং একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় তারা দিন দিন বীজ চাষে ঝুঁকছে। তাছাড়া পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে যে খরচ হয় তা পেঁয়াজ বিক্রি করে উঠে আসে বীজের সবটুকুই লাভ হয়।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন সেক জানান, উপজেলার শহীদওহাবপুর, মূলঘর, বরাট, বানিবহ ইউনিয়নের মাটি পেঁয়াজ বীজ চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় সদর উপজেলাতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পেঁয়াজ বীজ আবাদ হয়েছে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুর রহমান জানান, পেয়াজের বীজ সংরক্ষণ সহ সকল ধরণের পরামর্শ প্রদানে কৃষকদের পাশে রয়েছে কৃষি অফিস।
কৃপ্র/এম ইসলাম