কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
ভোলা জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৪৭ ভাগ বেশি জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। জেলার মোট ৪৪ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছে প্রায় ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে বোরো ধান পাকা শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এখানে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। নির্ধারিত জমি থেকে ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৯৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের টার্গেট নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় তালুকদার বলেন, জেলার মোট ৬৫ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের মধ্যে হাইব্রিড হয়েছে ৬ হাজার ৬০ হেক্টর, উফশী ৫৮ হাজার ৫০ ও স্থানীয় জাত রয়েছে ১৮শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শমূলক সেবা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, জেলায় মোট বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে হাইব্রিড রয়েছে ১৮শ’ ৬১ হেক্টর, উফশী ৪১ হাজার ৮৩ ও স্থানীয় জাত ১৮শ’ ৯৫ হেক্টর। এছাড়া সদর উপজেলায় টার্গেট ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৮৮২ হেক্টর, বোরহানউদ্দিনে ১১ হাজার ১৯৬, দৌলতখানে ২ হাজার ৪৪২, তজুমুদ্দিনে ১ হাজার ৮৮২, লালমোহনে ৯ হাজার ১৪৫, চরফ্যাশনে ১৪ হাজার ৯০০ ও মনপুরায় ২ হেক্টর জমি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রসান্ত কুমার সাহা জানান, গতবছর জেলায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ১৩৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছিলো। এবছর আরো বেশি চাল উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে শুরু করবেন। এছাড়া জেলায় মোট ২৫৪টি বোরোর প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় বোরোর বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপজেলা সদরের ধনীয়া ইউনিয়নের তুলাতুলী এলাকার কৃষক বারেক মাঝি, সালামত আলী ও খালেক হাওলাদার তারা প্রত্যেকে ১ একর জমিতে বোরোর আবাদ করছেন। ইতোমধ্যে ধান পাঁকতে শুরু হয়েছে। মাঠে ফসলের অবস্থাও বেশ ভালো। এছাড়া নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ অব্যাহত থাকায় সেচ কাজে কোন সমস্যা পোহতে হয়না। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নিয়মিত পরামর্শ সেবা দিচ্ছেন বলেও জানান তারা।
সুত্র, বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম