কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
মাছ চাষিদের প্রতিযোগীতার বাজারে টিকে থাকার জন্য উৎপাদন খরচ কমানোর বিকল্প নেই। আর মাছের উৎপাদন খরচ কমাতে বাজারে এসেছে যুগ উপযোগী প্রযুক্তি ‘ই-ফিশারি অটোফিডার’। মাছ উৎপাদনের মোট খরচের ৭৫-৮০ ভাগ খরচ হয় মাছের খাদ্যবাবদ। আর এই খাদ্য খরচ কমাতে গেলে মাছ চাষে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহারের বিকল্প নেই। নতুন প্রযুক্তি ‘ই-ফিশারি অটোফিডার’ মাছ উৎপাদনে চাষিদের মোবাইল ফোনে জানিয়ে দিবে পুকুরের অবস্থা কেমন আছে, পানির অবস্থা, তাপমাত্রা, পিএইচ মাত্রা, তথা বিশেস্নষণ করে এর কারণ নিরূপণ করা যাবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে। এসবই জানা যাবে আপনার মুঠোফোনের ইনস্টল করা একটি অ্যাপসের মাধ্যমে এবং যে যন্ত্রটির মাধ্যমে ওই অ্যাপসটি এসব কাজ করবে সেটি পুকুরে স্থাপন করা থাকবে।
আপনার পুকুরের মাছ কোনো কারণে খাবার কম খেলে পুকুরে স্থাপন করা ‘ই-ফিশারি অটোফিডার’ মেশিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। না এটি কোনো কাল্পনিক কাহিনী নয়, এটি এখন বাস্ত্মবতা। আর এই বাস্ত্মবতার কাজটি করেছে ইন্দোনেশিয়ার ই-ফিশারি নামে একটি যন্ত্র। এ যন্ত্রটি মূলত মাছের অটোফিডার।
ই-ফিশারি অটোফিডার ব্যবহারে এফসিআর বা খাদ্য রূপান্ত্মর হার কমপক্ষে ২১ ভাগ পর্যন্ত্ম সাশ্রয় হবে। আমাদের দেশের মাছের খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি অনুযায়ী সাধারণভাবে তাদের তৈরিকৃত খাদ্যের এফসিআর ১.৫। পর্যবেক্ষকদের দাবি প্রকৃত এফসিআর ১.৭। এ ক্ষেত্রে ই-ফিশারি অটোফিডার ব্যবহার করলে এফসিআর রেট কমে দাঁড়াবে ১.৩-১.৪ বলে দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশে ই-ফিশারি অটোফিডার আমদানি করছে এসিআই লিমিটেড।
ই-ফিশারি অটোফিডার ব্যবহারের ফলে প্রতিকেজি মাছ উৎপাদনে ২০০-৩০০ গ্রাম খাদ্য কম লাগবে। যন্ত্রটি ব্যবহারের ফলে শুধু মাছের খাদ্য খরচ কম হবে তা-ই নয় পুকুরের ভৌত অবস্থাও জানা যাবে। যার ফলে মাছের রোগবালাইও কম হবে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা খরচ কমে যাবে প্রায় ৩০ ভাগ। অন্যদিকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মাছের খাবার সরবরাহ করার জন্য শ্রমিক খরচ সাশ্রয় হবে প্রায় ৩০-৪০ ভাগ। এতে মাছের স্যাম্পল সংগ্রহ এবং অন্যান্য যাবতীয় হিসেব রাখাও সহজ হবে। আপনি যেকোনো জায়গায় থেকে আপনার পুকুরের সব খবরাখবর নিতে পারবেন। খাবার সময়মতো দেয়া হলো কিনা; মাছ খাবার খেলো কী খেলো কিনা, সামগ্রিক বিষয়ই খোঁজ রাখতে পারবেন।
কৃপ্র/এম ইসলাম