কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : এবার কৃষক করের আওতায় আসছেন ।তাদের কাছ থেকেও কর আদায়ের পক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ‘কৃষকদের আয় বেড়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে তাঁদেরও কর দিতে হবে। এখন যেমন তাঁদের জন্য কর অব্যাহতি রয়েছে, আগামী দুই বছর পর অন্তত এই সুযোগটা থাকবে না।’ রাজধানীর ফার্মগেটে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত বাজেট-উত্তর এক আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার (এফএও) পরামর্শক আর কে তালুকদার প্রমুখ। ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭: কৃষি পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির আন্তর্জাতিক সচিব এম সাইদুর রহমান। কৃষিতে বাংলাদেশকে ডেনমার্কের সঙ্গে তুলনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই খাতে বিপ্লব ঘটে গেছে দেশে। ধান, সবজি, মাছ, ফলমূলও ভালো উৎপাদিত হচ্ছে। শুধু গবাদিপশু উৎপাদনে একই জায়গায় রয়ে গেছি। দুধের চাহিদাও আমদানি করে মেটাতে হয়।’
গত ২৪ মে সচিবালয়ে ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ শীর্ষক প্রাক্-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আখ চাষ বন্ধের পক্ষে যে মন্তব্য করেছিলেন, গতকাল আবার সে কথাই বলেন। তিনি বলেন, ‘আখ চাষ বন্ধ করে দেওয়া দরকার। শুধু শুধু এই চাষে জমি নষ্ট হয়।’ আগের একটি হিসাবের উল্লেখ করে তিনি জানান, শুধু আখ চাষের জন্য বছরে কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি হয় । সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল কেনা অসুবিধাজনক উল্লেখ করে মুহিত বলেন, সার-বীজ ইত্যাদিতে তাঁদের সুবিধা দেওয়া হবে। আর সরকারি ধান-চাল কেনা হবে মিলমালিকদের কাছ থেকেই। প্রবন্ধে কৃষিকে বাণিজ্যিক ও রপ্তানিমুখী করা, ভর্তুকি অব্যাহত রাখা এবং কৃষি খাতের জন্য প্যাকেজ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) নীতি শিথিল করা ইত্যাদি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।