কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : দেশীয় জাতের মাছ চাষে লাভবান হয়েছেন নীলফামারীর মাছ চাষিরা । জেলার ইটাখোলার এক খামারে বাণিজ্যিকভিত্তিতে দেশীয় মাছের চাষ করে ভালো রকম সাড়া ফেলেছে তারা। এ মাছ জেলা সদরের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা যাচ্ছে। জানা গেছে, ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘মিশুক এগ্রো অ্যান্ড ফিশারিজ’ খামারটি ২৬ বিঘা জামির উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানকার ১৭টি পুকুরে দেশি জাতের মাগুর, শিং, টেংরা, পাবদা, কৈ, তেলাপিয়া, রুই কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ হচ্ছে।
উৎপাদিত মাছ নীলফামারী সদর ছাড়াও সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার খানসামা, রাণীরবন্দর ও পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ এবং লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলায় নিয়মিতভাবে যাচ্ছে। খামারের কো-অর্ডিনেটর বিধান কুমার রায় জানান, প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত পুকুর থেকে মাছ তোলা হয়। তারপর তা পাইকারিভাবে সরবরাহ করা হয়। নীলফামারী বড় বাজারের মাছ বিক্রেতা সেলিম হোসেন জানান, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় বাজারে দিন দিন এ খামারে উৎপাদিত মাছের চাহিদা বাড়ছে।
খামারের কেয়ারটেকার জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘১২ জন মিলে খামার দেখাশোনা করি। প্রতিদিন ভোর হলেই পাইকারদের ভিড় সামলাতে হয়।’ খামারটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রাকিব হাসান মিশুক বলেন, ‘শুধু বাণিজ্যিক নয়, অর্থনীতিতে পরিবর্তনের জন্যও খামারটির ভূমিকা তৈরি করতে চাই। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে খামারটির সম্প্রসারণ ঘটানো সম্ভব।’ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহ ইমাম জাফর সাদেক বলেন, মাছ চাষের সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অবশ্যই করা হবে।