‘শবে বরাতের মহিমায় পৃথিবী হয়ে উঠুক সবার জন্য একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ আবাস’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
মঙ্গলবার ১৪ই শাবান, ১৪৩৯ হিজরী, ১৮ই বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, পহেলা মে ২০১৮ ইং। দিবাগত রাতে পালিত হবে মহা-পবিত্র পবিত্র ‘শবে বরাত’। এ রাতকে আরবিতে ‘লাইলাতুল বারাআত’ বলা হয়। ‘বারাআত’ আরবি শব্দটির অর্থ নিষ্কৃতি। এ রাতে মুসলমান বান্দা আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে জাহন্নাম থেকে নিষ্কৃতি লাভ করেন। তাই, এ রজনীকে আরবিতে ‘লাইলাতুল বারাআত’ বা ‘নিষ্কৃতির রজনী’ বলা হয়।
পবিত্র এ রাতে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করলে, আল্লাহর কাছে নিজের পাপ-গুনাহ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি তা কবুল করেন এবং অনুতপ্ত বান্দাকে গুনাহ থেকে মুক্তি দিয়ে তাকে মাফ করে দেন। এ ছাড়া নেক বান্দার সব দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। বছর ঘুরে আবার এসেছে এই রাত।
শবে বরাত সম্পর্কে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘জিবরাইল (আ.) আমাকে বলেছেন, আপনি আপনার উম্মতদের জানিয়ে দিন, তারা যেন শবে বরাত রাতকে জীবিত রাখে।’ অর্থাৎ তারা যেন ইবাদতের মধ্যে কাটিয়ে দেয়। প্রত্যেক মুসলমানের নিজেকে গুনাহমুক্ত করার এ এক অপূর্ব সুযোগ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাই আজ সারা রাত ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে এই রাতটি অতিবাহিত করবেন। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানগণ বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করবেন। পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
মহিমান্বিত এ রজনী ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মঙ্গল বার দিবাগত রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে ওয়াজ মাহফিল, কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, হামদ্, না’ত, নফল ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় এবং আখেরী মোনাজাত। পবিত্র এ রাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদ সারা রাত খোলা থাকবে।
পবিত্র শবে বরাতে নিজের জন্য প্রার্থনার পাশাপাশি দেশ, দেশের সব মানুষ ও সারা বিশ্বের কল্যাণের জন্যও সর্বশক্তিমানের দয়া কামনা করা হয়। শবে বরাতের পবিত্র রাতের মহিমায় পৃথিবী হয়ে উঠুক আমাদের সবার জন্য একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ আবাস।
কৃপ্র/এম ইসলাম