কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্ট।।
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক এইচসিএফসিএস’র বাণিজ্য বন্ধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ভূপৃষ্ঠের ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারের ওপরের ওজোন স্তর স্বাভাবিক রাখতে হলে সিএফসি ও এইচসিএফসি জাতীয় ক্ষতিকারক গ্যাস সীমান্ত পথে অবৈধভাবে আমদানী প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ভূপৃষ্ঠের ওজোন স্তরের ক্ষতিকারক গ্যাস চোরাই পথে যাতে না আসতে পারে সেজন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও শুল্ক বিভাগসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আজ বুধবার রাজধানীর বারিধারার একটি অভিজাত হোটেলে ‘বর্ডার ডায়লগ ফর এইচসিএফসি ট্রেড কোঅর্ডিন্যাশন এন্ড কোঅপারেশন বিটুইন ওজোন এন্ড কাস্টমস এন্ড এনফোর্সমেন্ট অফিসার্স অব বাংলাদেশ, ভুটান, চীন, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার এন্ড নেপাল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
পরিবশে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যানের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, চীন, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার এবং নেপালের সরকারী ও বেসরকারী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবশে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. কাজী সারোয়ার ইমতিয়াজ হাশমী, জাতিসংঘের এনভায়রমেন্ট সংক্রান্ত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কার্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ার মন্ট্রিল বিষয়ক প্রটোকল কর্মকর্তা লিয়াজাত রাবিওসি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. রেজাউল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে এ গ্যাস আমদানি করে থাকে। রিফ্রেজারেটর ও এয়ারকন্ডিশনে (এসি) ব্যবহৃত ক্ষতিকারক এ গ্যাসের কারণে ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য ব্যবহার বন্ধে বাংলাদেশের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ভারত, নেপাল, চীন, মিয়ানমার ও ভুটানকেও একযোগে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ওজোন স্তর ক্ষয় হয়ে সূর্যের ক্ষতিকারক বেগুনী রশ্মি পৃথিবীতে আসতে থাকলে মানুষসহ প্রাণীকুল এবং পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। ভূপৃষ্ঠের ওজোন স্তর ছাকুনীর মাধ্যমে সূর্য়ের বিশুদ্ধ রশ্মিগুলো পৃথিবীতে প্রেরণ করে। তাই ভূপৃষ্ঠের ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারের ওপরের ওজোন স্তর স্বাভাবিক রাখতে হলে সিএফসি ও এইচসিএফসি জাতীয় ক্ষতিকারক গ্যাস সীমান্ত পথে অবৈধভাবে আমদানী প্রতিরোধ করতে হবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম