কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলা বেতাগায় একটি ধানের শিষে প্রায় এক হাজার দানার ধান উপকুলীয় চাষিদের নতুন স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। জানা যায় ২০১৫-১৬ মৌসুমে চুকুলি গ্রামের কৃষাণি ফাতেমা বেগম তার ধান ক্ষেতে এক গুছিতে তিনটি ছড়া ধানের শীষ পান।
ফাতেমা বেগম জানান, বিষয়টি উপ সহকারী কৃষি অফিসার প্রদীপ মণ্ডলকে জানালে তিনি ছড়া তিনটি সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। পরবর্তী মৌসুমে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষাণির পুত্র লেবুয়াত ধানের চারা রোপণ করে ২.৫ কেজি বীজ ধান সংগ্রহ করেন। যা এক শতক জমিতে বীজ বপন করে ২০১৭-১৮ মৌসুমে প্রায় ৫০ শতক জমিতে ধান চারা রোপণ করা হয়। সাধারণ দেশীয় জাতের ধানের মত করে এটি চাষ করা হয়।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদিপ মণ্ডল জানান, ফাতেমা বেগমের জমিতে উত্পাদিত ধান গাছের প্রতিটির দৈঘ্য ১১৫-১৩০ সেমি, টিলারের (পোট) সংখ্যা গড়ে আটটি, ধানের শিষ বা ছড়ার দৈর্ঘ্য ৩৬সেমি/১৪ ইঞ্চি, দানার সংখ্যা ৯/১১শ’টি, পাতার দৈঘ্য ৮৮ সেমি, চওড়া ১.৫ইঞ্চি, কান্ড দেখতে প্রায় আখ গাছের মত, হেক্টর প্রতি গড়ে ফলন হয়েছে ১১ টন। পশুর নেদীর লবণ পানি এ অঞ্চলে প্রবাহিত হওয়ায় লবন সহনশীল জাত বলে এটিকে ধারনা করা হচ্ছে। এটা ফকিরহাটে তথা উপকুলীয় জেলার জন্য আর্শীবাদ।
কৃষক লেবুয়াত বলেন, ধান কাটা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে চাষিরা নতুন এ ধানের ফলন দেখে ৪শ টাকা দরে বীজ সংগ্রহ করছে। ইতোমধ্যে তিনের এক ভাগ ধান কেটে প্রায় তিন লাখ টাকার বীজ ধান বিক্রি হয়েছে। আরো ছয় লাখ টাকার বীজ ধান বিক্রি হবে বলে তিনি ধারনা করছেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. তমাল লতা আদিত্য বলেন, এ বড় ধানের ছড়া আমি আগে কোথাও দেখিনি। গবেষণার মাধ্যমে এই ধানের জাতটি যদি সব স্থানে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে ধান উৎপাদনে বিশ্বে নজির বিহীন উদ্ভাবন হবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম