মোঃ আরিফুর রহমান।।
চরম বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে বিশ্ব বায়ুদূষণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন, অর্থাৎ ৯০ শতাংশই এখন নিঃশ্বাসের সঙ্গে দূষিত বায়ু গ্রহণ করছে। নিঃশ্বাসের সঙ্গে দূষিত বাতাস গ্রহনের ফলে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোক, হূদরোগ, ফুসফুস ক্যান্সার ও নিউমোনিয়ার মতো সব মরণ ব্যাধিতে। প্রতি বছর বিশ্বে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যু ঘটছে ৭০ লাখ মানুষের।
যুক্তরাজ্যের গ্র্যান্টহ্যাম রিসার্চ ইনস্টিটিউট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড দি এনভায়রনমেন্ট ও সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিসির যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত গবেষণায় এ নিয়ে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। এ গবেষণা বলছে বায়ুদূষণের কারণে মানুষের মারাত্নক মানসিক ব্যাধি দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুদূষণের কারনে মানুষ অতিমাত্রায় আবেগপ্রবণতা ও আগ্রাসী মনোভাব ও অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠছে। গত দুই বছরে লন্ডনের বিভিন্ন এলাকায় ঘটা অপরাধের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে।
পরিচালিত গবেষণাটিতে অপরাধের তথ্যের পাশাপাশি তাপমাত্রা, বাতাসের আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ও মৌসুম এবং দিনের তারতম্যগুলোর বিশ্লেষণ করা হয়। এসব বিশ্লেষণের কেন্দ্রে ছিল সংশ্লিষ্ট সময়ের বায়ুমান সূচক। গবেষণায় দেখা গেছে কোনো এলাকার প্রতি ১০ পয়েন্ট একিউআই সূচকমান বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যায় দশমিক ৯ শতাংশ। গবেষণায় পাওয়া তথ্যপ্রমাণাদি বলছে বায়ুদূষণের কারণে যুবক ও তরুণদের মধ্যে আচরণের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে পরিচালিত ওই গবেষণায়ও কই রকম তথ্য এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরাও জানান, দূষিত বায়ুর কারণে মানসিক উদ্বেগের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে অনৈতিক আচরণ ও অপরাধপ্রবণতার মাত্রাও বেড়ে যায়।সবশেষে গবেষকরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেন, যেখানে বায়ুদূষণের মাত্রা যত বেশি, সেখানে অপরাধের মাত্রাও তত বেশি।
কৃপ্র/এম ইসলাম