‘ সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ৩০০ টাকা কমে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
হাওড়াঞ্চলের কৃষকরা উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) হলরুমে, হাওড়বাসীদের উন্নয়নে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা হাওর অ্যাডভোকেসি প্লাটফরম (হ্যাপ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
হ্যাপের মতে, গত বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে হাওড়াঞ্চলের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারেননি। চলতি বছর বাঁধ নির্মাণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করায় সেখানে বিপুল পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে ধান না কেনায় কৃষকরা উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।
লিখিত বক্তব্যে হ্যাপের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, হাওড় অঞ্চলে ৭টি জেলা রয়েছে। সেখানকার মানুষের জীবিকা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য নির্ভরশীল তাদের উৎপাদিত ধানের উপর। সরকার প্রতি মন ধানের দাম ১ হাজার ৪০ টাকা দামে নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু কিছুদিন ধরেই কৃষকরা প্রতি মন ধান সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ৩০০ টাকা কমে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এতে কৃষক শুধু ঠকছেনই না, পাশাপাশি আরও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কারণ এখানকার অধিকাংশ মানুষই গরিব হওয়ায় চাষাবাদের জন্য তাদের কোনো না কোনো সংস্থা থেকে ঋণ নিতে হয়। এ অবস্থায় সরকার নির্ধারিত মূল্য না পেলে কৃষকরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে আছে- সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষকরা কীভাবে ধান বিক্রি করতে পারবে তার উপায় বের করা, ভাটির উঁচু-নিচু ক্ষেতগুলোকে সমতল করা, আগামী ২ মাসের জন্য প্রতিটি গ্রামে অস্থায়ী গোডাউন নির্মাণ করা এবং কৃষি কার্ডের ভিত্তিতে কৃষককে সমস্ত সুবিধা দেয়া।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হ্যাপের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুজ্জামান শরিফ, ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক মেনন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন, ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল হক, হাওড় বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক চিত্তরঞ্জন প্রমুখ।
কৃপ্র/এম ইসলাম