কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
কুড়িগ্রাম জেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলিনের পথে মহান মুক্তিযুদ্ধের মুক্তাঞ্চল রৌমারী।ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড়, চরশৌলমারী ও যাদুরচর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত গ্রামগুলোতে। ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব পাড় বামতীরে অবস্থিত প্রায় ২০টি গ্রাম একযোগে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো হলো ইটালুকান্দা, সাহেবের আলগা, চর গেন্দার আগলা, চরঘুঘুমারী, ঘুঘুমারী, খেরুয়ারচর, পূর্ব খেরুয়ারচর, পূর্ব খেদাইমারী, উত্তর খেদাইমারী, পশ্চিম পাখিউড়া, দক্ষিণ পাখিউড়া, পাখিউড়া, পশ্চিম বাগুয়ারচর, বাগুয়ারচর, বাইসপাড়া, দক্ষিণ বলদমারা পূর্বপাড়া, ধনারচর, পশ্চিম ধনারচর, ধনারচর নতুন গ্রাম, দিগলাপাড়া, তিনতেলী।
এছাড়া আসছে বন্যা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের কবলে পড়বে রৌমারী উপজেলার আরো প্রায় ২০টি গ্রাম সাহেবেরআলগা, গেন্দার আলগা, চরসোনাপুর, ঘুঘুমারী, উত্তর খেদাইমারী, পাখিউড়া, জামাইপাড়া, বাগুয়ারচরপয়েচিপাড়া, বাগুয়ারচর, বাইটকামারী, পশ্চিম খনজনমারা, খনজনমারা, বাইশপাড়া, পশ্চিম কুঠিরচর, কুঠিরচর খানপাড়া, চরবাঘমারা, চর বন্দবেড়, ধনারচর, দিগলাপাড়া, ধনারচর নতুন গ্রাম।
এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবতী এলাকায় অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, কাঁচা পাকা রাস্তা, ব্রীজ, কালবার্ট, ঘর-বাড়ী, ফসলী জমি, গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন রোধে জরুরী কোন পদক্ষেপ না নিলে অদুর ভবিষেত রৌমারী উপজেলা পরিষদ ভবনসহ সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় বলেন, আসছে বন্যা মৌসুমের আগেই ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বন্দবেড়, চরশৌলমারী ও যাদুরচর ইউনিয়নের ব্যাপক ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্র, ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম