কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : পাহাড়ে সনাতন পদ্ধতিতে জুম চাষে গাছপালা, লতাগুল্মের সাথে উজাড় হচ্ছে বন্যপ্রাণী, কীট-পতঙ্গ ও পাখ-পাখালি। পরিবেশ বিঞ্জানীরা বলছেন, এসব অবৈজ্ঞানিক কৌশল পাহাড় ধসেরও কারণ। আগুন দিয়ে জমি পরিষ্কারের কারণে বিপর্যয়ের মুখে পরিবেশও। প্রতি বছর গ্রীষ্ম মৌসুমে জুম চাষের জন্য নির্বাচিত পাহাড়ি জমিতে আগুন লাগায় পাহাড়িরা। দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় পাহাড়ের পর পাহাড়। এরপর মাটি কুপিয়ে চাষের উপযোগী করা হয় । যুগ যুগ ধরে চলা জুম চাষের কৌশল এমনই।
পরিবেশবিদরা বলছেন, পাহাড়ে এভাবে চাষাবাদের ফলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হচ্ছে বেশি। এতে পাহাড়ের ক্ষয় হয়, মাটি উর্বরতা হারায়। বন ধ্বংসের কারণে পাহাড়গুলো নাজুক হয়ে পড়ে। তাই বর্ষা মৌসুমে বাড়ে পাহাড় ধসের শঙ্কা। তবে, পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানেন না বেশিরভাগ জুমচাষীই। কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে জুম চাষে সচেতন করার পাশাপাশি জুমে বনজ ও ফলদ বাগান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাহাড়ের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে জুম চাষীদের আধুনিক পদ্ধতির চাষে প্রশিক্ষিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পরিবেশবিদরা ।
কৃপ্র/ এম ইসলাম