কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক: অ্যাভোকাডো সম্পর্কে কৃষিবিদ ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য এ ফলটির রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। যুক্তরাষ্ট্রের ফল বিজ্ঞানী উইলসন পোপেনোর মতে, অ্যাভোকাডো হচ্ছে পৃথিবীর মানুষের জন্য ঈশ্বরের একটি বড় উপহার। পৃথিবীতে পুষ্টিকর ফলগুলোর মধ্যে অ্যাভোকাডো অন্যতম।
বাংলাদেশে অ্যাভোকাডোর গাছ খুবই কম দেখা যায়।
অ্যাভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এ, সি, ই ও কে। আছে প্রচুর পটাসিয়াম, যা কলার চেয়ে ৬০ ভাগ বেশি। ১৮ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড, ৩৪% স্যাচুরেটেড ফ্যাট। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভালো কোলেস্টেরল, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। অর্থাৎ শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে। এটি শিশুদের জন্য একটি উৎকৃষ্ট মানের খাবার। শিশুদের পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে। যকৃৎকে সুরক্ষা দেয়। জন্ডিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
তিন বছরের গাছেই অ্যাভোকেডোর ফল ধরেছে সুফলা হটি কালচার নাসারীতে। বলেন, এ সেন্টারে যে ফলগুলো ধরেছে, তার ওজন ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম। দেখতে বড় আকারের লম্বাটে কাঁচা পেয়ারার মতো। গাঢ় সবুজ রঙের। পাকলে রঙের পরিবর্তন হয়। ফলের ভেতরে বড় একটি বিচি থাকে। বিচিটি আস্ত রেখে ফালি করে কেটে পাতলা খোসা ছড়িয়ে খেতে হয়। ফলটি মাখনের মতো মোলায়েম, স্বাদ হালকা মিষ্টি ধরনের।
ফলটি ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায় দারুণ চাহিদাসম্পন্ন ও দামি ফল। অনেকে এ ফল দিয়ে নাশতা করে। সালাদ করেও খায়। ঢাকার কোনো কোনো অভিজাত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেও অ্যাভোকাডো ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বাংলাদেশে খাগড়াছড়ি, মধুপুর মিশন, সারদা পুলিশ একাডেমিতে মাত্র কয়েকটি গাছ রয়েছে।
জানা গেছে থাইল্যান্ড ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অ্যাভোকাডোর ১২টি জাত সংগ্রহ করা হয়েছে। সাধারণত ছয়-সাত বছরের একটি গাছে ফল ধরে। ফল পাকে আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে। কাঁচা ফল সবজি হিসেবেও খাওয়া যায়।
এম ইসলাম