কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
আমন ধানের নতুন একটি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা। ব্রি ধান ৮৭ নামের জাতটির জীবনকাল ব্রি ধান ৪৯-এর চেয়ে কম এবং প্রচলিত জাতের চেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি। গতকাল জাতীয় বীজ বোর্ডের ৯৬তম সভায় নতুন জাতটি আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সভায় ব্রি-এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবিরসহ বিভিন্ন সংস্থার মহাপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ উদ্ভাবিত এ জাতটি নিয়ে ব্রি এ পর্যন্ত ধানের মোট ৯২টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে ছয়টি হাইব্রিড এবং বাকি জাতগুলো ইনব্রিড। নতুন জাতটি উদ্ভাবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্রি-এর বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. মো. এনামুল হক জানান, ব্রি ধান ২৯-এর সঙ্গে বন্য ধান ঙৎুুধ ত্ঁভরঢ়ড়মড়হ-এর সংকরায়ণ করে ব্রি ৮৭ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। ২০১৬ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের মাঠে ধানটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ফলন পরীক্ষায় ধানটির জীবত্কাল ব্রি ধান ৪৯-এর চেয়ে সাতদিন আগাম এবং ফলন বেশি হওয়ায় আমন মৌসুমের একটি জাত হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়।
ব্রি সূত্র জানায়, এ জাতের পূর্ণবয়স্ক একটি গাছের গড় উচ্চতা ১২২ সেন্টিমিটার। তবে কাণ্ড শক্ত বলে ধানগাছ ঢলে পড়ে না। পাতা হালকা সবুজ। ধান পাকার সময় কাণ্ড ও পাতা সবুজ থাকে। এর দানা লম্বা ও চিকন। এক হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৪ দশমিক ১ গ্রাম। চালের আকার-আকৃতি লম্বা ও চিকন। এ ধানের অ্যামাইলোজ ২৭ শতাংশ। ফলে চাল রফতানিযোগ্য। এ জাতের জীবত্কাল ১২৫-১৩০ দিন এবং ফলন হেক্টরপ্রতি ছয় থেকে সাড়ে ছয় টন। চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমনের মতোই।
বিজ্ঞানীরা জানান, ব্রি ধান ৮৭-তে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে কম হয়। সাধারণত ১০ কার্তিক থেকে ১ অগ্রহায়ণ (২৫ অক্টোবর-১৫ নভেম্বর) ধান কাটার উপযুক্ত সময়।
কৃপ্র/এম ইসলাম