কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
উদ্যোক্তা পর্যায়ের সমন্বিত কৃষি ও ভাসমান পদ্ধতির কৃষিতে ঋণ প্রদান করা হবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের শুরু থেকেই এ কর্মসূচি চালু হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সমন্বিত কৃষির জন্য সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণের সুপারিশ করবে। কৃষি ঋণের দুটি নতুন প্রকল্পের নীতিমালা তৈরিতে সহায়তা করেছেন কৃষিবিদ নুরুন্নাহার ও মনজুর হোসেন।
কৃষিবিদের অভিমত, সুপারিশকৃত কম্পোনেন্টগুলোর মধ্যে তিন থেকে পাঁচটি কম্পোনেন্টের সমন্বয়ে ছোট থেকে মাঝারি আকারের সমন্বিত ফার্মিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।
ছোট আকারের একটি সমন্বিত ফার্মিংয়ে চারটি গরু মোটা তাজাকরণের সঙ্গে এদের গোবর দিয়ে জৈব সার উৎপাদন এবং উৎপাদিত জৈব সার দিয়ে চার বিঘা জমিতে গাজর চাষের মাধ্যমে সমন্বিত প্রকল্প গড়ে তোলা যেতে পারে। আর এ ধরনের প্রকল্পে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে কৃষিবিদ নুরুন্নাহার।
কৃষিবিদ মনজুর হোসেন তার পর্যালোচনায় উল্লেখ করেছেন, মাঝারি আকারের সমন্বিত ফার্মিংয়ের জন্য যেমন: পাঁচ থেকে ১০টি গরু অথবা মহিষ পালনের সঙ্গে এদের গোবর দিয়ে জৈব সার অথবা বায়োগ্যাস উৎপাদন করা যায়। উৎপাদিত জৈব সার দিয়ে তিন থেকে ছয় একর জমিতে সবজি চাষ অথবা পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি সমন্বিতভাবে পোল্ট্রি খামার ও হাস-মুরগী পালনের মাধ্যমে সমন্বিত প্রকল্প গড়ে তোলা যেতে পারে।
পর্যালোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে বৃহৎ আকারের একটি সমন্বিত ফার্মিং যেমন পাঁচ বিঘা জমিতে পুকুর খনন, মাছ চাষ, মুরগি পালন, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, জৈবসার উৎপাদন ও ফলমূল চাষের জন্য ৩১ লাখ টাকার প্রয়োজন হতে পারে।
ভাসমান পদ্ধতিতে চাষ নীতিমালায় বলা হয়েছে, দেশের নিচু অঞ্চলগুলোতে বন্যা ও জোয়ারভাটার কারণে জমি সারাবছর জলাবদ্ধ থাকে। এই জলাবদ্ধ এলাকায় ভাসমান ভাসমান বীজতলা তৈরি করে সবজি ও ফসল চাষ।
কয়েকটি বিশেষ অঞ্চলকে ভাসমান পদ্ধতির কৃষিঋণের জন্য বিবেচ্য হিসেবে ধরা হয়েছে। এই জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে বরিশাল, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ। এছাড়া দেশের বন্যাপ্রবণ, খরাপ্রবণ, লবণাক্ত ও উপকূলীয় অঞ্চলসহ হাওর অঞ্চলগুলোকে এই প্রকল্পের আওতায় আসবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম