কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
ভাইরাসের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বগুড়া জেলার আদমদীঘির মরিচ চাষিরা। কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। ফলে পোকার আক্রমণে ক্ষেতে ফসল নষ্ট হওয়ায় এবার মরিচ চাষ করে উপজেলার বেশির ভাগ চাষীকে গুনতে হচ্ছে লোকসান।
জানা যায়, এবারে মরিচ ক্ষেতগুলোতে এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন এলাকার মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেলেও সময়মতো চাষিদের পরামশর্ দেয়ার জন্য কোনো কৃষি কর্মকর্তাকে মাঠে পাওয়া যায়নি। ফলে কৃষকরা না বুঝে ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
উপজেলার কেশরতা গ্রামের মরিচ চাষি রাশেদুল ইসলাম জানান, ৪ থেকে ৫ বছর ধরে অন্যান্য সবজি ও ফসলের পাশাপাশি তিনি ক্ষেতে মরিচ চাষ করছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন তিনি। কিন্তু এর আগে কখনো এভাবে ভাইরাসের আক্রমণ দেখেননি। তিনি বলেন, মরিচ গাছে কি যেন এক অজানা ভাইরাস আক্রমণ করায় মরিচের গাছগুলো শুকিয়ে মরে যাচ্ছে।
ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মরিচ ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার পাননি। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশরতা গ্রামের অপর এক মরিচ চাষি সরোয়ার হোসেনসহ তার ৩ তিন ভাই মিলে ১৫ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। এতে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। কিন্তু ক্ষেতে পোকার আক্রমণের পাশাপাশি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কম হওয়ায় এখনো লাভের মুখ দেখেনি তারা।
এক দিকে মরিচের কম দান অন্য দিকে পোকার আক্রমণে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে বলে তারা জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কামরুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। তবে মরিচ ক্ষেতে এ রকম ভাইরাস আক্রমণের কথা তাদের এখন কেউ জানায়নি। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মরিচ চাষিদের সবার্ত্মক পরামশর্ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, আক্রান্ত মরিচ ক্ষেতগুলো সরজমিনে পরিদশর্ন করে এর প্রতিকারের পরামশর্ দেয়া হবে।
তথ্যসুত্র, দৈনিক যায়যায় দিন/ কৃপ্র/এম ইসলাম