কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, কৃষকের উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে। সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ এবং তা যথাযথ বাস্তবায়নের ফলেই বর্তমান সরকারের সময়ে কৃষি উৎপাদনে অসামান্য সফলতা অর্জন করেছে।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সংসদ অধিবেশনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকের দোরগোড়ায় সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন সার ডিলার ও ৯ জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ করা হয়েছে। সারের ক্রয়মূল্য চার দফায় কমিয়ে সুষম সার ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল এবং প্রতিকূল পরিবেশসহিঞ্চু জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুতের সেচ প্রদানে স্মার্ট কার্ড প্রচলন করা হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে কৃষকের ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কৃষি জমিতে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য রাজস্ব বাজেটের আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বোরো মৌসুমে সেচকাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। সেচকাজে ব্যবহৃত বিদ্যুত বিলে ২০ শতাংশ হারে রিবেট প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে শতকরা ৩০ ভাগ কৃষাণীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
মতিয়া চৌধুরী আরও জানান, বর্তমান সরকারের গত ৯ বছরে পাট গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বে সর্বপ্রথম দেশী ও তোষা পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। তাছাড়া পাটসহ পাঁচ শতাধিক ফসলের ক্ষতিকরক ছাত্রাকের জীবন রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।
সরকারী দলের রহিম উল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী জানান, দেশে বিলুপ্তপ্রায় ফলের জাত সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১২টি দেশী ফল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্প্রচসারণের জন্য দেশের ৭৫টি হার্টিকালচার সেন্টারে ১৮ লাখ ৭১ হাজার ৩শ’টি চারা/কলম উৎপাদনের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এই ১২টি ফল হলো- দেশী টক কুল, তেঁতুল, কাঁঠাল, বরিশালী আমড়া, জাম, বেল, কদবেল, ডালিম, তাল, সজিনা, বীচি কলা ও এসপ্যারাগাস।
তিনি জানান, বিলুপ্তপ্রায় ফুলের জাত সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে কৃষি গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচীর বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে ফুলের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষে চাষীদের আগ্রহ বেড়েছে।
তথ্যসুত্র, দৈনিক জনকণ্ঠ/ কৃপ্র/এম ইসলাম