কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
প্রবল বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে রংপুরের গঙ্গাচড়ার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চল তলিয়ে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার সাত ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার পরিবার।
উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চর শঙ্করদহ, জয়রাম ওঝা, চর ইশোরকোল, চল্লিশশাল, গান্নারপাড় ও বাঁধেরপাড়, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর মটুকপুর ও চিলাখাল, আলমবিদিতর ইউনিয়নের হাজিপাড়া ও ব্যাংকপাড়া, নোহালী ইউনিয়নের চর বাগডহরা ও চর নোহালী, মর্নেয়া ইউনিয়নের ছোট রুপাই, কামদেব, রামদেব ও নরসিংহ, গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাক ও রমাকান্তসহ সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়া পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভেঙে গেছে ব্রিজ ও রাস্তা। মানুষজন গাছ ও বাঁশ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
গত কয়েক দিনের অব্যাহত ভাঙনে কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা চর ও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পূর্ব ইচলীর ৩০টি পরিবারের বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বিনবিনায় জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল আনন্দলোক বিদ্যালয়, সাউদপাড়া ইসলামীয় আলিম মাদ্রাসা ভাঙনের মুখে পড়েছে।
লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, তার এলাকায় তিনটি পরিবারের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শঙ্করদহ বিদ্যালয় রক্ষায় রংপুর পাউবো জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করবে।
রংপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্ট বন্যার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ এনামুল কবির বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের পানিবন্দি পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন্যাকবলিতদের সরকারিভাবে সহায়তার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম