কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, স্বাস্থ্য সম্মত নিরাপদ সবজির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর সাথে মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে আফগানিস্তানের স্টাডি ট্যুর দলের সদস্যসহ এফএও এর এক প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষকদের উদ্ভাবনী চিন্তার ফলে এখন দেশের জমি সাড়ে তিন ফসলি। যার ফলে আমাদের খাদ্যে দীর্ঘস্থায়ী স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং সুলভ মূল্যে ঔষধ এবং প্রতিষেধকের নিশ্চয়তার সম্ভাবনা বৃব্ধি পাবে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশ ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা মা ও শিশু স্বাস্থ্যসহ প্রাথমিকে শিশু ভর্তির হার শতভাগ ও ঝড়ে পরার হার হ্রাস করেছে এবং বছরের প্রথম দিন সকল শিশুদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিচ্ছে। ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নের্তৃত্ব দেন আফগানিস্তানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের কৃষি সেচ ও লাইভ স্টকের উপ-মন্ত্রী এইচ ই হামদুল্লাহ হামদরদ।
প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, দূরদর্শী ও অগ্রসর চিন্তার নেতৃত্বের ফলে কৃষির আধুনিকায়নে আমরা বিশ্বের অনেক দেশের থেকেই এগিয়ে আছি। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা তাদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে ক্ষতিকারক পোকার প্রতিরোধক জিন সন্নিবেশ করে নতুন বেগুনের জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বিজ্ঞানীরা পাটের জিনোম এবং পাটের কান্ড পঁচা রোগের জন্য দায়ী ছত্রাকের জিনোম সিকোয়েন্সে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে ভবিষ্যতে মজবুত আঁশযুক্ত পাট বা কান্ড পঁচা রোগ প্রতিরোধী জাতের উদ্ভাবন সহজতর হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মোকাবেলা করে খাদ্য উৎপাদন বহাল রাখতে জৈবপ্রযুক্তি জ্ঞান অর্জনের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সাক্ষাৎ কালে হামদুল্লাহ হামদরদ কৃষিসহ সবক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদানসহ বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্র নানাদিক পরিদর্শনে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সুত্র, বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম