কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : আম বাঙালির অতি প্রিয় একটি ফল। আম পছন্দ করেন না এমন লোকের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়৷ । সে কাঁচা অথবা পাকা যে আমই হোক লোভের চোটে বেশি খেয়েও নেন অনেকে৷ তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই এই মৌসুমে খেয়েও নিন কারণ কাঁচা অথবা পাকা আম উভয়ই উপকারী৷ জেনে রাখুন এই ফল আমাদের শরীর কে সুস্থ রোগমুক্ত রাখতে কেমন সহায়তা করে। তবে পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমের গুণ বেশি৷
এবার এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক আমের উপকারিতার নানা দিক:
কাঁচা আম যেহেতু ক্যারোটিন ও ভিটামিনএ সমৃদ্ধ তারফলে এই ফল চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে৷ কাঁচা আম খেলে রাত কানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।
এদিকে আমে থাকে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স।ফলে এই ভিটামিনের প্রভাবে শরীরের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরকে সতেজ থাকায় ঘুম ভাল হয়।
আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি।
এদিকে আমে বেটাক্যারোটিন, ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম থাকায় হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আমের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন রকমক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তাকরে, যেমন, স্তনক্যান্সার, লিউকেমিয়া, কোলনক্যান্সার, প্রোস্টেটক্যান্সার ইত্যাদি।
আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ লবণের উপস্থিতিও থাকায় দাঁত, নখ, চুল, মজবুত করার জন্য আমের খনিজ লবণ উপকারী ভূমিকা পালন করে।
আমে প্রচুর এনজাইম থাকায় তা শরীরের প্রোটিনের অণু গুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে, এর ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ।
প্রতিদিন আম খেতে পারলে দেহের ক্ষয় রোধ হয় ও স্থূলতা কমিয়ে শারীরিক গঠনে ইতি বাচক ভূমিকা পালন করে ।
আম খেলে স্থূলকায় ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে এবং দেহে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ।
আমে ম্যালিকঅ্যাসিড, সাইট্রিকঅ্যাসিড ও টারটারিকঅ্যাসিড রয়েছে যা শরীরে ক্ষার ধরে রাখতে সক্ষম হয় ।
ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রেও আম অনেক উপকারি, আম খেলে লোমের গোড়া পরিষ্কার হয়৷ এরফলে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্ত স্বল্পতাসমস্যা দূর করে, শরীরের রক্ত পরিস্কার থাকে ।
আমের ভিতর প্রচুর ফাইবার থাকায় কোষ্টকাঠিণ্য দূর করে ।
সাবধানতা: তবে আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিজের শরীরে কথা ভেবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত৷ সেটা হল যদি ডায়াবেটিক রোগী হলে একসঙ্গে ৭০-৭৫ গ্রামের বেশি আম খাওয়া উচিত নয়৷ ভাল হয় সেক্ষেত্রে কতটা আম কিভাবে খাবেন সেটা একবার নিজের ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া৷ সকলেই মনে রাখবেন আম খাওয়ার আগে অবশ্যই ফলটি ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে খাবেন৷