কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
দূষণ আর দখলে মরা খালে পরিণত হয়েছে ঝালকাঠির নলছিটির কাটখালী খাল। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত ভরাট হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পুরো উপজেলায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। খালের ভেতরে গড়ে তোলা হচ্ছে স্থাপনা। ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। এ ছাড়া খালের ভেতরে কচুরিপানা ঠাসা। মাঝে মধ্যে মাটির স্তূপ। অনেক জায়গায় ময়লা-আবর্জনার জঞ্জাল। খালের পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে কাঁচা-পাকা স্থাপনা। এভাবে পানিপ্রবাহের জায়গা সংকুচিত হয়ে অস্তিত্ব হারাচ্ছে খালটি।
বিষখালী নদী থেকে শুরু হয়ে উত্তরে ভারানী খাল হয়ে সুগন্ধা নদীর সঙ্গে মিশেছে খালটি। এক সময়ে খরা স্রোতের এ খালকে নদী মনে হতো। নদী ও কয়েকটি শাখা খালের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় নৌপথে পরিবহন অনেক সহজ ছিল।
প্রায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৫০-২০০ ফুট প্রস্থের এ খালটি উপজেলার পানিপ্রবাহে হৃৎপিণ্ডের মতো কাজ করছে। এটি দুটি নদী ও চারটি খালের সঙ্গে সংযুক্ত।
কৃষকরা বলেন, এ কাটখালী খাল আমাদের নলছিটির প্রান। দীর্ঘদিন ধরে খাল খনন না করার কারণে দুপাশে আগাছা জন্মেছে। ফলে পানি সময়মতো নিষ্কাশন হচ্ছে না। যার ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খালটি যথাযথভাবে সংস্কার না করায় দিনে দিনে ভরাট হয়ে পানি ধারণ ক্ষমতা ও প্রবাহের স্বাভাবিক গতি বাধা পাচ্ছে। এছাড়া খাল পাড়ের ভূমি মালিকরা খালের পাড় কেটে নিচের কিছু অংশ ভরাট করে আবাদি জমি তৈরি করে নিজ দখলে নিচ্ছেন। ফলে খালের আকার সংকুচিত হচ্ছে।
দেখা গেছে, খালটির পাড় দিয়ে চলাচলের সুযোগ নেই। উভয় পাড় ঘেঁষে এবং কেউ কেউ খালের ভেতরে কাঁচা-পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। খালের প্রায় মাঝখান পর্যন্ত মাটির স্তূপ করে চাষাবাদ করা হচ্ছে। কচুরিপানায় প্রায় পুরো খাল ঠাসা। উভয় পাড়ের বাসিন্দাদের ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এটি।
কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এ খাল থেকে দিন দিন দুর্গন্ধ বাড়ছে। বাড়ছে মশা-মাছির উৎপাত। বর্ষাকালে মরা মাছে খাল ভরে যায়। তাদের অভিযোগ, দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে খালটি। তবে খাল পাড় ও খালের ভেতরে কাঁচা-পাকা স্থাপনা গড়ে তোলা কয়েকজনের দাবি, নিজের মালিকানাধীন জমিতেই তারা এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছেন।
তথ্য সুত্র, pbd.news / কৃপ্র/এম ইসলাম