কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
সাতক্ষীরা জেলার কৃষকদের পাট আবাদে আগ্রহ বাড়ছে । এ বছর সাতক্ষীরা জেলায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় ১০০ হেক্টর বেশি। চলতি মৌসুমে জেলায় পাঁচ প্রজাতির পাট আবাদ করা হয়েছে। এ থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪২৪ বেল। খবর দৈনিক বনিক বার্তা অনলাইনের।
বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, গত দুই বছর বাজারে পাটের দাম ভালো ছিল। এতে তাদের লাভও ভালো হয়েছে। যে কারণে অনেক কৃষকই চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করেছেন।
সদর উপজেলার নেবাখালী গ্রামের কৃষক মো. আওরঙ্গজেব জানান, এ মৌসুমে তিনি ছয় বিঘা জমিতে তুষা জাতের পাট চাষ করেছেন। গত বছর তিনি পাট আবাদ করেছিলেন পাঁচ বিঘা জমিতে। সব মিলে বিঘাপ্রতি তার সাড়ে ৮ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হতে পারে। এ কৃষক আরো জানান, গত মৌসুমে পাট উৎপাদন করে তার ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়।
একই গ্রামের কৃষক মিন্টু হোসেন জানান, তিনি ১৫-১৬ বছর ধরে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পাট চাষ করে আসছেন। এ বছরও তিনি চার বিঘা জমিতে ফাল্গুনী ও তুষা জাতের পাট আবাদ করেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরার ছয়টি উপজেলাতেই পাটের আবাদ হচ্ছে। এর মধ্যে সদরে ৪ হাজার ২৩০ হেক্টর, কলরোয়ায় ৪ হাজার ৫০, তালায় ২ হাজার ৮০০, দেবহাটায় ৮৫, কালীগঞ্জে ১০৫ ও আশাশুনিতে ৮৫ হেক্টরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সদরে ৫৭ হাজার ১০১ বেল, কলারোয়ায় ৩৯ হাজার ৪৫০, তালায় ৩৯ হাজার ২৩০, দেবহাটায় ৮৮০, কালীগঞ্জে ৯৯০ ও আশাশুনিতে ১ হাজার ১০০ বেল। উল্লেখ্য, গত বছর জেলায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল মোট ১ লাখ ১২ হাজার ২০০ বেল।
কথা হলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম জানান, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় পাট চাষ বাড়ছে। এ এলাকার কৃষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কমবেশি পাট চাষ করেন। গত তিন-চার বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যও বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, এবার জেলায় তুষা, ফাল্গুনী, মেসতা, গুটি ও স্থানীয় জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। তবে স্থানীয় জাতের থেকে এ অঞ্চলে তুষা জাতের পাটের উৎপাদন ভালো হয়। তুষা জাত থেকে হেক্টরপ্রতি গড়ে ১৩-১৪ বেল পর্যন্ত পাট পাওয়া সম্ভব।
কৃপ্র/এম ইসলাম