কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে কচুর লতি। পাঁচবিবির কচুর লতি দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশে রফতানি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রোলিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা, জার্মানি, ডেনর্মাক, সুইডেন ও মধ্যপ্রাচ্যসহ প্রায় ২৫টি দেশে। অল্প সময়ে কচুর লতি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন পাঁচবিবির কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবির কৃষৃষকরা ১ হাজার হেক্টর জমিতে কচুর লতি আবাদ করছেন। আর লতি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার মেট্রিক টন।
অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় পাঁচবিবি উপজেলার এ কচুর লতি এখন জয়পুরহাট সদর, দিনাজপুর, বিরামপুর, নওগাঁর বদলগাছী, যশোরসহ অন্যান্য ২-১ জেলার উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে।এপ্রিল-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ মাস এ পুরো মৌসুম হলেও সারা বছর এর ফলন পাওয়া যায়।
জানা গেছে, চাষি মৃত অমির উদ্দিনের প্রথম উদ্ভাবিত এ লতি শুরুতে ২-১ জন কৃষকের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে দ্রুত বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এ কচুর লতি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিমান সম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
পাঁচবিবিতে উৎপাদিত কচুর লতির প্রধান পাইকারী বাজার ঢাকার কারওয়ান বাজার। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, বাইপাইল, টাঙ্গাইল, দৌলতপুর, রাজশাহী, নাটোর, রংপুর, ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড়, দিনাজপুর,বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে যাচ্ছে পাঁচবিবির কচুর লতি।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুবার রহমান বলেন, কচুর লতি চাষে কৃষকদের সব রকম সহযোগীতা করে যাচ্ছি। পাঁচবিবির কচুর লতি অনেক সুস্বাদু। এ জন্য এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম