কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
চলতি রোপা আমন মৌসুমে লালমনিরহাটসহ রংপুর অঞ্চলে আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমন ও রোগ বালাইয়ের কারণে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন চাষীরা। প্রাকৃতিক উপায়ে পোকা ও রোগ বালাই দমনের চেষ্টা ও কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না চাষীরা। তথ্যসুত্র, প্রিয় ডট কম।
চলতি আমন মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে মোট ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৪ শত ৭৭ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষাবাদ হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে। এর মধ্যে লালমনিরহাট জেলায় ৮২ হাজার ২ শত ৫৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে।
পর পর দু বারের বন্যায় হাজার হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত নষ্ট হলেও আমন লাগানোর সময় থাকায় পাশের জেলা গুলো থেকে চারা সংগ্রহ করে নষ্ট হওয়া জমিতে চারা রোপণ করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্রি- ২৮, ১১, ৩৪, ও হাইব্রিড জাতের ধানের ভালো ফলন হয়েছে।
তবে কিছু জমিতে গোড়া পঁচা, মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো রোগ দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমন চাষীরা। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর অতিরিক্ত খরচে আমন ধান চাষাবাদ করেছেন চাষীরা। আমনের ফলন ভাল হলেও জমিতে রোগ বালাই এখন কৃষকের চিন্তার কারণ হয়ে পড়ছে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দঃ গড্ডিমারী গ্রামের কৃষক জমসের আলী জানান, তার আমন ক্ষেতে ধান গাছের পাতা ফ্যাকাসে লাল হয়ে যাচ্ছে। আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। জমিতে পোকা ও রোগনাশক ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে। আমন ক্ষেত যদি পোকা মাকড় ও রোগ মুক্ত রাখা যায় তাহলে ভালো ফলন সম্ভব।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, চারা ঘন করে রোপন ও অতিরিক্ত ইউরিয়া সারের ব্যবহারে আমন ক্ষেতে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। এ জন্য কৃষি বিভাগ আলোক ফাঁদ অভিযান চালাচ্ছে। পাশাপাশি পোকা ও রোগ দমনে চাষীদের কীটনাশক স্প্রে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিদু ভূষধ রায় জানান, কৃষি বিভাগের উদ্যোগে আলোক ফাঁদ অভিযান চলছে। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের কারণে পোকার আক্রমন কমে গেছে। তারপরও যদি ক্ষেতে পোকার আক্রমন দেখা যায় সেসব ক্ষেতে চাষীদের আমরা আল্টিমা প্লাস ও সেতারা নামক কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি।
কৃপ্র/এম ইসলাম