কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ি ছড়ার পানি আটকিয়ে মাছ চাষ ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য চাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প মূল্যায়নে এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে দরিদ্র পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান দেশের পিছিয়ে পড়া জনপদগুলোর অন্যতম। দুর্গম পাহাড় আর অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এ অঞ্চলের জীবনযাত্রার উন্নয়নের পথে অন্যতম বাধা।
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য চাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পটির প্রথম পর্যায় ২০০২ সালের জুন হতে ২০০৫ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের জানুয়ারি হতে ২০১০ মেয়াদে দ্বিতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়। তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি ২০১২ সালে শুরু হয়ে জুন ২০১৭ সাল মেয়াদে ৭২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তাবয়ন করা হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় ২৫টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, পার্বত্য জেলাসমূহের মৎস্য চাষ কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, পাহাড়ি জনগণের পারিবারিক আয় বৃদ্ধি এবং পুষ্টির মান উন্নয়ন।
আইএমইডির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হেক্টর প্রতি মাছের উৎপাদন হচ্ছে ৭১৫ কোজি। যা এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এবং পুষ্টির মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের ২০১৫ সালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তিন পার্বত্য জেলায় ক্রীক উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে ৫৩৩টি। সুফলভোগীরা দল গঠন করে ৪৩৯টি ক্রীকে মৎস্য চাষ শুরু করেছেন। তবে মৎস্য উৎপাদনের সফলতা নির্ভর করে সময়মতো পোনা প্রাপ্তির উপর।
প্রকল্প সংশি¬ষ্টরা জানিয়েছেন, উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও নির্দেশনাতে সুফলভোগী দল গঠন করা হয়। ক্রীকের আশেপাশে বসবাসরতদের মধ্য হতে উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে মৎস্য চাষে আগ্রহী ৩০ শতাংশ মহিলা সম্পৃক্ত থাকেন। সুফলভোগী দলের নিয়মিত সভাও হয়। পোনা অবমুক্তি, ক্রীক সংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনাও হয়।
কৃপ্র/ এম ইসলাম