‘উদ্ভাবনী ক্ষমতায় বাংলাদেশ অন্য কোন দেশের চেয়ে কম নয়!
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ওপর যে তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান সবার পেছনে। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০১৮ অনুযায়ী, তালিকার সর্বনিম্নে আছে বাংলাদেশ, আর তার পাশাপাশি অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপাল এবং কাজাখস্তান। আর এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্ভাবনী শক্তি দেখা যায় সিঙ্গাপুরের। গত জুলাই মাসে এই রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন এসেছে কেন বাংলাদেশ উদ্ভাবনী ক্ষমতায় পিছিয়ে? বাংলাদেশে যারা নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু তৈরি করতে চান, তাদের ঠিক কী ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়? আর এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, ‘দ্য ইনোভেশন হাব’ এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান ফাহাদ ও প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ ।
তিনি তরুণ উদ্ভাবকদের পথ দেখানোর লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে ২০১৫ সালে চালু করেন ‘দ্য ইনোভেশন হাব’। সম্প্রতি ইমরান ফাহাদ বলছেন, বাংলাদেশের উদ্ভাবকদের সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ফান্ডিং-র অভাব।তিনি বলছেন, উদ্ভাবকরা জানেন না তাদের আইডিয়া নিয়ে কোথায় যেতে হবে, তারা যেটা তৈরি করতে যাচ্ছেন তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থই বা কোথা থেকে জোগাড় হবে?
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে স্টার্ট-আপ কালচার মাত্র শুরু হয়েছে,” “এধরনের প্রকল্পের জন্য সরকারের কাছে অর্থ ঠিকই রয়েছে। শুধু সে সম্পর্কে মানুষকে আরো বেশি বেশি করে জানাতে হবে।”
প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ মনে করেন, বাংলাদেশ উদ্ভাবনী শক্তির দিকে থেকে অন্য কোন দেশের চেয়ে কম নয়। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ বিবেচনা করলে বাংলাদেশের উদ্ভাবনীশক্তির বিষয়ে কোন অভিযোগ করা চলে না।
তিনি উদ্ভাবকদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেন মেধার পরিচর্যার অভাবকে। পাশাপাশি, নানা ধরনের ভৌত সমস্যাও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
“যিনি পাবনায় বসে নতুন একটা কিছু বানাতে চান, তার সামনে নানা সমস্যা, “তিনি বলছেন, তার কাছে বিদ্যুৎ নেই, ইন্টারনেট সংযোগ নেই। তার কাজের দেখাশোনা জন্য রয়েছে মেন্টরের অভাব।” তিনি বলেন, উদ্ভাবনী সত্তা তৈরি হয় দেশপ্রেম থেকে।
“বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য বহু সফটওয়্যার রয়েছে। কিন্তু তারপরও ব্যাংক মালিকরা বিদেশ থেকে কেনা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন। এটাকে আপনি কী বলবেন?” গবেষণার খাতে সরকারি অর্থায়নের নিয়মকে সম্পুর্ণভাবে বদলে দেয়া দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গবেষণার জন্য কিছু অর্থ বরাদ্দ থাকে বলে তিনি জানান, কিন্তু প্রকৃত গবেষণার বদলে সেই টাকা ব্যয় হয়ে যায় যন্ত্রপাতি কেনাকাটায়।
তথ্য সুত্র, বিবিসি বাংলা/ কৃপ্র/এম ইসলাম