কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
বরিশালের আমড়া সারাদেশে নামকরা। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মাটিতে আমড়ার ফলন ও গুণগতমান ভাল হয়। প্রসিদ্ধ হিসেবে সবাই বরিশালের আমড়া বললেও আসলে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিকে (নেছারাবাদ) আমড়ার রাজধানী বলা যায়। কারণ দক্ষিণাঞ্চলে এখানে আমড়ার ফলন হয় সবচেয়ে বেশি।
ঝালকাঠি, বরিশাল, ভোলা এবং বরগুনায়ও আমড়া ভালো জন্মে। এসব এলাকায় পেয়ারার পাশাপাশি আমড়া চাষ হয় সমানতালে। বষাকালে এখানকার নিচুজমিগুলো জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারণে স্থানীয় কৃষকরা উঁচু করে কান্দি বা বেড তৈরি করেন। এ পদ্ধতিকে সজার্ন বলে।
দুই বেডের মাঝখানে প্রশস্ত নালা থাকে, যাতে ছোট নৌকাযোগে ফল সংগ্রহ করতে সহজ হয়। চাষিরা গাছ থেকে আমড়া সংগ্রহ করে নিয়ে যান ভাসমান হাটে। সেখানে আমড়া কেনার জন্য শত শত ট্রলারসহ পাইকারি বিক্রেতা জমা হন দলেদলে। এখান থেকে সরবরাহ করা হয় সারাদেশে।
এসব হাটগুলোর মধ্যে ঝালকাঠি সদরের ভীমরুলি, বাউকাঠি, নবগ্রাম এবং নেছারাবাদের আটঘর, কুড়িয়ানা, জিন্দাকাঠি, আদমকাঠি, ধলহার অন্যতম। এক মেট্টিক টন আমড়ার বাজারদর ২২ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা। আর খুচরামূল্য কেজিপ্রতি ২৮-৩০ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, গত ২০১৭-২০১৮ বছরে বরিশাল অঞ্চলে ২০ হাজার ৭১ হেক্টর জমিতে আমড়া চাষ হয়েছিল। যার মধ্যে বরিশালে ৩৫৩ হেক্টর, ঝালকাঠিতে ৫৯১ হেক্টর, পিরোজপুরে ৪৯৩ হেক্টর, পটুয়াখালীতে ২৫৯ হেক্টর, বরগুনায় ২০৫ হেক্টর এবং ভোলায় ১৭০ হেক্টর।
উপজেলাওয়ারি সবোর্চ্চ জমির পরিমাণ ঝালকঠির সদর এবং রাজাপুরে। দুই উপজেলায় ২৬০ হেক্টর করে। চলতি বছরে চাষের পরিমাণ বেড়েছে। নেছারাবাদের স্বরূপকাঠিতে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রিফাত শিকদার জানান, গতবার তার উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে ২ হাজার ৪৭৫ মেট্টিক টন আমড়া উৎপাদন হয়েছিল।
কৃপ্র/এম ইসলাম