রুহুল সরকার।।
কুড়িগ্রাম জেলায় ধানের ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতির ব্যাবহার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিষমুক্ত ভাবে পোকা দমনের এই পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক ভাবে প্রসার ও প্রচার করার লক্ষে রাজীবপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে পার্চিং উৎসব।
পার্চিং পদ্ধতি বলতে ফসলি জমিতে লম্বা গাছের ডাল বাঁশের খুঁটি বা কঞ্চি পুতে রাখা এত করে জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ওই খুঁটিতে বসে জমির উপরি ভাগের দৃশ্যমান পোকা খেয়ে ফসল সুরক্ষা করে।ধানের জমিতে পার্চিং করা হলে প্রাকৃতিক ভাবে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়।এই পার্চিং কারার ফলে জমিতে ক্ষতিকর মাজরা পোকার আক্রমন হয়না। ফসলের উৎপাদন খরচ কমে যায় বিষ প্রয়োগ না করার কারনে পরিবেশ দুষণ হয় না আর্থিক ভাবেও কৃষক লাভবান হয়।
সম্প্রতি কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলায় আমন ধানের জমিতে গাছের ডাল ও বাঁশের কঞ্চি পুঁতে পার্চিং কর্মসূচির উদ্ধোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস ।এসম আরও উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংবক্ষন কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম, উপজেলার বিভিন্ন বøকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা,কৃষক আফসার আলী, হয়রত, জব্বার হোসেনন প্রমুখ।
এলাকার কৃষক আফসার আলী (৬০) বলেন,আগে জমিত মাজরাপোকা ধরলে বিষ দিছি কয়েক বছর থিকা ডাল পুঁইতা দেই এহন মাজরা পোকা ধরে না ।শাহজামাল (৫০) নামের আরেক জন কৃষক বলেন ধানের জমিত ডাল কঞ্চি দিলে পোকা কম হয় ক্ষেতে বিষ দেওয়া লাগে না।
পাচিং উৎসব এর বিষয়ে জানতে চাইলে রাজীবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন প্রতিবছর কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করে পার্চিং করা হয়।চলতি আমন মৌসুমে ধানের ফলন নিশ্চিত করতে রোগ ও পোকামাকড় কমাতে উপজেলার প্রতিটি বøকে কৃষকদের নিয়ে উৎসব এর আমেজে পার্চিং উৎসব করা হচ্ছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম