কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও পরিবেশে টার্কি পালনের জন্য বেশ উপযোগী। টার্কি একটি সহনশীল পাখির জাত, যারা যে কোনো পরিবেশ তাদের মানিয়ে নিতে পারে। টাকির্ পাখির খাদ্য সবুজ ঘাস, শাক, লতাপাতা যা বাংলাদেশে সহজলভ্য। এই সুবাদে দেশে গড়ে উঠতে পারে অসংখ্য ছোট-বড় টাকির্র খামার। আশার খবর হচ্ছে- টাকির্ পালনে তরুণ সমাজে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা গেছে। তারই প্রতিফলন হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশে ব্যক্তি উদ্যোগে তরুণরা ছোট-মাঝারি খামারে টাকির্ পালন করছেন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন
টার্কি পালনে কম সময়ে অধিক মুনাফা অজের্নর কারনে বাংলাদেশে দ্রত বিকশিত হচ্ছে টার্কির খামার। পালন। মুরগির মতো দেখতে কিন্তু আকৃতিতে অনেক বড় গৃহপালিত পাখিটির নাম টাকির্। মেলিয়াগ্রিস পরিবারের এক ধরনের বড় আকৃতির পাখি এটি। গৃহপালিত টাকির্ও মূলত এ প্রজাতিরই। বাচ্চা অবস্থায় এগুলো দেখতে অনেকটাই মুরগির বাচ্চার মতো। দুইভাবে টাকির্ পালন করা যায়- ১. মুক্তচারণ পালন পদ্ধতি ও ২. নিবিড় পালন পদ্ধতি।
অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের ফলে শিক্ষিত তরুণরা টাকির্ পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বিচ্ছিন্নভাবে বিকশিত খামারিরা টাকির্র মাংসের বাজার সম্প্রসারণে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই শিল্প সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে বেকারত্ব দূরীকরণ এবং দারিদ্র্য বিমোচন হওয়ার পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় জোরালো অবস্থান করে নেবে টাকির্র মাংস।
ঢাকার সাভার, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নওগঁা, খুলনা, চট্টগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় ছোট ছোট খামারের পাশাপাশি বড় খামারগুলোতে সফলভাবে টাকির্ লালন-পালন করছেন খামারিরা। খামারিদের সফলতা দেখে নতুন নতুন অনেক উদ্যোক্তা এ নিয়ে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। এতে বহু লোকের কমর্সংস্থানও হচ্ছে।
টাকির্র জন্য কৃত্রিম খাবারের প্রয়োজন নেই। এ কারণে টাকির্র খাবারের ব্যয়ও খুবই কম। সাধারণ প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস ও লতাপাতা এবং শাকসবজি টাকির্র পছন্দের খাবার। এ ছাড়া দানাদার খাবার রাখতে হবে। দেশীয় মুরগির মতো ঘরেও টাকির্ লালন-পালন করা যায়। পুষ্টিকর ও সুস্বাদু হওয়ায় পোল্ট্রির পাশাপাশি টাকির্র মাংসও খাদ্য তালিকায় আদশর্ মাংস হিসেবে ঠঁাই করে নিতে পারলে এর বাজার সম্ভাবনা দ্রæত বাড়বে।
কৃপ্র/এম ইসলাম