কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদনে চাঙ্গাভাব চলমান রয়েছে। দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন ৪২ লাখ টন ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে গত মাসে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন চলতি বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বে শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর প্রতি বছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পাম অয়েল রফতানি হয়। পণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায়ও দেশটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় সব মিলিয়ে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টন পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছে। গত আগস্টে মোট ৪০ লাখ ৬ হাজার টন পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন বেড়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার টন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বেশি পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছে। বছরের প্রথম মাসে (জানুয়ারি) দেশটিতে সব মিলিয়ে ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার টন পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছিল। এর পর থেকে পণ্যটির উৎপাদন কমতে থাকে। গত মার্চে ইন্দোনেশিয়ায় মোট ৩৩ লাখ ৩৫ হাজার টন পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছিল। এটাই চলতি বছর পাম অয়েল উৎপাদনের সর্বনিম্ন মাসভিত্তিক পরিমাণ।
ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের চেয়ারম্যান দেরোম বানগুন জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বছরের শুরু থেকে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন কম ছিল। এখন ভরা মৌসুমে পণ্যটির উৎপাদন বাড়তে শুরু করেছে। বছরের বাকি সময়ও ইন্দোনেশিয়ায় পণ্যটির উৎপাদনে চাঙ্গাভাব বজায় থাকতে পারে।
তথ্য সুত্র, বনিক বার্তা/ কৃপ্র/এম ইসলাম