কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
শরীয়তপুর জেলার কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিনা চাষে পেঁয়াজ-রসুন আবাদে। বেলেযুক্ত দোআঁশ মাটি বিনা চাষে পেঁয়াজ-রসুন আবাদের জন্য উপযোগী। তবে শরীয়তপুরে চাষ ও বিনা চাষ দুই পদ্ধতিতেই পেঁয়াজ-রসুন আবাদ হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে গত ৪-৫ বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছে বিনা চাষ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ রসুন আবাদ। তবে বিনা চাষ পদ্ধতিতে চাষ পদ্ধতির চেয়ে বিঘা প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা বেশী লাভ হওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে এই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ রসুন আবাদ।
বিনা চাষ পদ্ধতিতে উৎপাদন খরচ কম, ফলন ভালো ও আগাম ফলন পাওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও ভাল ফলনের আশা করছেন শরীয়তপুরের পেঁয়াজ-রসুন চাষীরা।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবছর শরীয়তপুরে ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ ও ২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পেঁয়াজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ১২ মেট্টিক টন ও রসুনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ১৭০ মেট্টিক টন।
বিনা চাষ পদ্ধতিতে চাষ করলে চাষ খরচ কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ কম, ভালো ফলন ও একটু আগাম ফলন পাওয়ায় বাজারমূল্যও একটু বেশী পাওয়ায় যায়। রোপণের ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে কৃষক রসুন তাদের ঘরে তুলতে পারেন। জাজিরা উপজেলার অন্যতম প্রধান অর্থকরি ফসলই হচ্ছে পেঁয়াজ-রসুন।
নড়িয়া উপজেলার মালতকান্দি গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন মাল বলেন, এ বছর পেঁয়াজ-রসুন আবাদে চাষ পদ্ধতিতে বিঘাপ্রতি ৪০-৪৫ হাজার টাকা ও বিনা চাষ পদ্ধতিতে ৩৫-৪০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে ভালো ফলন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদি। গত মৌসুমে চাষ পদ্ধতিতে বিঘাপ্রতি ৩০-৩৫ মণ ও বিনা চাষ পদ্ধতিতে ৪৫-৫০ মণ রসুন এবং বিনা চাষ পদ্ধতিতে ৫৫-৬০ মণ ও চাষ পদ্ধতিতে ৫০-৫৫ মণ পেঁয়াজের ফলন পেয়েছিলাম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শরীয়তপুরের উপ পরিচালক মো. রিফাতুল হোসাইন বলেন, এ বছর পেঁয়াজ-রসুন আবাদের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। জেলার কৃষকরা চাষ ও বিনা চাষ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ রসুন আবাদ করে থাকেন। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৫০ ভাগ জমিতে বিনা চাষ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ রসুন আবাদ হচ্ছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম