কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
মেহেরপুরে গত এক বছরের ব্যবধানে অন্তত সাড়ে ৪০০ একর জমিতে আখের আবাদ বেড়েছে। মূলত চিনিকল থেকে নিয়মিত অর্থ পরিশোধ এবং পানীয় হিসেবে আখের রসের চাহিদা বেড়ে যাওয়া প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করছেন চাষীরা।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, একসময় মেহেরপুরের তিন উপজেলা সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় ব্যাপক আখ চাষ হতো। কিন্তু বিভিন্ন চিনিকল বন্ধ হয়ে যাওয়া, চিনিকল কর্তৃপক্ষ নিয়মিত অর্থ পরিশোধ না করা এবং বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আখের দাম না বাড়ার কারণে কৃষকরা আখ চাষ ছেড়ে দিতে থাকেন। আখের স্থান দখল করে বিভিন্ন লাভজনক ফসল। কিন্তু দুবছর ধরে আবার আখ চাষ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি বছর জেলায় ৯৬৭ একর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে, যেখানে গত বছর ছিল মাত্র ৫০০ একর। অবশ্য এর মধ্যে বেশির ভাগই গাংনীতে।
মেহেরপুর জেলার গাংনী ইক্ষু উন্নয়ন ও ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্র (সাবজোন অফিসের) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, গাংনী উপজেলার ছয়টি ইক্ষু উন্নয়ন কেন্দ্র ও ১০টি ইউনিটের মাধ্যমে তারা আখ ক্রয় করেন। বিভিন্ন এলাকার চাষীদের ভর্তুকিও দেয়া হয়।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর আখের সরকারি নির্ধারিত দাম বাড়ানো হয়েছে, এখন চিনিকলের ক্রয়কেন্দ্র হাতের নাগালে, এক সপ্তাহ পরই মোবাইলের মাধ্যমে চলে আসে টাকা। তাছাড়া বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর শহরের অলিগলিতে আখের রস বিক্রি হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিনই প্রচুর আখের প্রয়োজন হয়। এসব কারণেই কৃষকরা ফের আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, এ জেলা থেকে আখ একেবারেই হারিয়ে গিয়েছিল। এখন লাভবান হওয়ায় কৃষকরা আবার আবাদ শুরু করেছেন। তারা নানা পরামর্শ দিচ্ছেন, যদিও এটি তাদের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।
কৃপ্র/এম ইসলাম