কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
খামারে ড্যাফোডিল ফুলগুলো বড় হওয়ার সঙ্গে ভয়ও বাড়ছে স্যাম টেইলর নামে পূর্ব ইংল্যান্ডের এক ফুল চাষির। একই অবস্থা দেশটির প্রায় বেশির ভাগ ফুল চাষির। গত সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে ৪১ বছর বয়সী এ ফুল চাষি স্যাম তার উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেন, ‘বিষয়টা অন্যসব ব্যবসায়ের মতোই। আমরা এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। আমরা আসলে এ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা চাচ্ছি।’ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের প্রস্থান বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেশটির সব খাতকেই প্রভাবিত করছে।
পাঁচ সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইইউ থেকে প্রস্থান বিষয়ে রাজনীতিবিদদের মতবিরোধ নিয়ে ওই ফুল ব্যবসায়ী বলেন, ‘তাদের উচিত একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান বের করা’।
চার প্রজন্ম ধরে চলা ব্যবসাটি ১৯১৯ সালে লিংকনশায়ারের হোলবিচে শুরু হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি নেদারল্যান্ডস থেকে বাল্ব আমদানি করে এবং সেখানে তাজা ড্যাফোডিল রফতানি করে। কিন্তু বর্তমানে ওই খামার থেকে দুপুরের দিকে ফুল পাঠানো হলেও পরবর্তী দিন সকালবেলা নেদারল্যান্ডসের বাজারে নিলামের জন্য ওঠে।
স্যাম টেইলরের মতো ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, যদি কোনো প্রস্থান চুক্তি ছাড়া আগামী ২৯ মার্চ ইইউ থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে আসে, তাহলে ইউরোপীয় বন্দরগুলোয় তাদের ফুলের চালান দিনের পর দিন আটকে থাকতে পারে। যদিও তাজা ফুল তার ব্যবসায়ের ক্ষুদ্র একটি অংশমাত্র এবং অভ্যন্তরীণ বাজারেই তার বড় চালান যায়, তবু তিনি আশঙ্কা করছেন চালানে বিলম্ব হলে পুরো রফতানিই বন্ধ হয়ে যাবে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম